Samsung Trade Union Recognition

‘আদালত আর রাস্তার লড়াইয়ের সমন্বয়ে মিলেছে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি স্যামসাঙে’

জাতীয়

শ্রমিক ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে চালাতে হয়েছে লাগাতার আন্দোলন। এবার স্যামসাঙ ইন্ডিয়ার ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি দেওয়া হলো সরকারিভাবে। মিলেছে নথিভুক্তির শংসাপত্র। 
তামিলনাডু সরকারের শ্রম দপ্তর এই শংসাপত্র দিয়েছে সিআইটিইউ অনুমোদিত এই সংস্থার ট্রেড ইউনিয়ন ‘স্যামস্যাঙ ইন্ডিয়া থোঝিলালরগল সঙ্গম’-কে। ১৯২৬’র ট্রেড ইউনিয়ন আইন অনুযায়ীই মিলেছে স্বীকৃতি। 
সোমবারই স্বীকৃতির খবর মিলেছিল কারখানা চত্বরে। লড়াইয়ে জয়ের পর সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘আদালত আর রাস্তার লড়াইয়ের সমন্বয়ে মিলেছে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি স্যামসাঙে।’ 
স্যামসাঙ ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি এবং সিআইটিইউ নেতা ই মুথুকুমার বলেছেন, ‘‘১০৬ বছর আগে, ১৯১৮-তে পরাধীন ভারতে প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন গড়ে উঠেছিল। এই স্বীকৃতি সেই লড়াইকে মনে করাচ্ছে।’’
তিনি জানিয়েছেন বহুজাতিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সংস্থা স্যামসাঙের নীতিই হলো স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন কারখানায় থাকতে না দেওয়া। সেই নীতি বদলাতে হয়েছে আন্দোলনে। দেশে এই সংস্থার কোনও কারখানায় প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে এর আগে এই বহুজাতিকের আর মাত্র একটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। 
৯ সেপ্টেম্বর থেকে তামিলনাডুর কাঞ্চিপুরম জেলায় স্যামসাঙের কারখানায় কর্মী এবং শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে নামেন। শত চেষ্টাতেও আন্দোলন ভাঙা যায়নি। ৮ অক্টোবর মাহরাতে সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে রাজ্যের ডিএমকে সরকারের পুলিশ। পরদিনই ভেঙে দেওয়া হয় অস্থায়ী বিক্ষোভ মঞ্চ। কিন্তু প্রতিবাদ তীব্র হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের হস্তক্ষেপে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিকে সম্মতি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করেছিলেন শ্রমিকরা।
সিআইটিইউ তামিলনাডু রাজ্য সভাপতি এ সৌন্দররাজন বলেছেন, ‘‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই এই দাবিকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার কারখানা কর্তৃপক্ষের হয়ে ভূমিকা নিয়েছে।’’ এই কারখানার ১৮৫০ কর্মীর মধ্যে ১৩০০’র বেশি সরাসরি সিআইটিইউ অনুমোদিত স্যামসাঙ ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন সরাসরি।

Comments :0

Login to leave a comment