Human Trafficking

কাজের টোপ দিয়ে পাচারের চেষ্টা, এনজেপি থেকে উদ্ধার ৫৬ যুবতী

রাজ্য জেলা

চাকরি দেবার নাম করে পাচারের আগে ৫৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করা হলো নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে। এনজেপি থেকে পাটনাগামী ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস থেকে ওই যুবতীদের উদ্ধার করে জিআরপি এবং আরপিএফ। ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে জিআরপি। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উদ্ধার হওয়া যুবতীদের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। 
জানা গেছে, মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা আইফোন কোম্পানিতে কাজের টোপ দিয়ে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং ডুয়ার্সের ৫৬জন যুবতীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো বিহারে। যুবতী ও তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছিলো যুবতীদের কাজের জন্য ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু যুবতীদের নিয়ে এসে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এনজেপি-পাটনা ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসে তোলা হয়। শুধু তাই নয়, যুবতীদের কারো হাতে ট্রেন যাত্রার টিকিট ছিলো না। প্রত্যেকের হাতেই ছিলো কোচ ও বার্থ নম্বরের সিল। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ট্রেন তল্লাশি চালানোর সময়ে যুবতীদের একসাথে দেখে জিআরপি ও আরপিএফ’র তরফে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জেরে উঠে আসে রাজ্যের বাইরে কাজ দিতে নিয়ে যাবার বিষয়টি। ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যাবার কথা বলা হলেও বিহারের ট্রেনে যুবতীদের তোলা হয়েছে জানতে পেরেই সন্দেহ বাড়তে থাকে। 
উদ্ধার হওয়া যুবতীরা জানায়, কলকাতার ভাটপাড়ার বাসিন্দা জীতেন্দ্র পাসওয়ান ও শিলিগুড়ির পোড়াঝাড়ের বাসিন্দা চন্দ্রিকা কর তাদের নিয়ে যাচ্ছেন। দুইজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে দুইজনের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। এরপরেই দুইজনকে আটক করা হয় এবং ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হয় ৫৬জন যুবতীকে। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন জিআরপি থানায়। প্রত্যেক যুবতীর বাড়িতেই খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা নিউ জলপাইগুড়িতে আসলে পরিবারের হাতে যুবতীদের তুলে দেওয়া হয়েছে। আটক দুইজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও ব্যাঙ্গালোরে কোন কোম্পানিতে যুবতীদের কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো সেই সংক্রান্ত কোন নথিপত্র দেখাতে পারেনি দুইজন। এরপরেই ধৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা  করে জীতেন্দ্র পাসওয়ান ও চন্দ্রিকা করকে গ্রেপ্তার করেছে জিআরপি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি ও আরপিএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment