Bangladesh Plane Crash

বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক

আন্তর্জাতিক

মীর আফরোজ জামান: ঢাকা

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জন। তাদের মধ্যে শিশু ২৫ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৮ জন। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের দেহ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান। তিনি আরও বলেন ৪টি হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭৮ জন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ জন শিশু এবং একজন পাইলট ও একজন শিক্ষক রয়েছেন। নিহতদের পরিবারের কাছে ২০ জনের দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার রাতে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি হাসপাতালে হতাহত বেশি। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৮ জন ভর্তি। ১৫ জনের মৃতদেহ ছিল সেখানে। এ ছাড়া বার্নে ভর্তি ৪২ জন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।
আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায়অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। 
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক শোকবার্তায় বলেন, "এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে হারালাম। নিহতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।"

শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানান। 
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শোকবার্তায় বলেন, এই দুর্ঘটনা আমাদের জাতির জন্য গভীর বেদনাদায়ক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তিনি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোঃ ইউনুস এর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়,
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রত্যেকের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নিহতদের প্রত্যেকের নাম-পরিচয় যাচাই ও তালিকা করা হচ্ছে। যেসকল মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, সেগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment