Cyclist team

চন্দননগর থেকে বাংলাদেশে রওনা দিল সাইক্লিস্টদের একটি দল

জাতীয় রাজ্য আন্তর্জাতিক

অভীক ঘোষ 

ভারত বাংলাদেশের মৈত্রী আরো দৃঢ় করতে ভালোবাসার দিনে সাইক্লিস্টদের একটি দল  চন্দননগর থেকে ঢাকা যাত্রা করল। ঢাকায় গিয়ে ভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির থাকবেন হুগলি সাইক্লিস্টের সদস্যরা।

২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,আবার ভাষা শহীদ দিবসও। গোটা পৃথিবীতে পালিত হয় এই দিন। বাংলাদেশের ঢাকাতেও পালিত হবে সেই বিশেষ দিন।মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালী ছাত্র রফিক,সালাম,বরকতজব্বরদের। সেই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে তাই ভাষা দিবসের গুরুত্ব আলাদা।

সিঙ্গুর মহামায়া স্কুলের শিক্ষক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়  ও তার স্ত্রী মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন। সময় পেলেই সাইকেল নিয়েও বেরিয়ে পড়েন। প্রণব কুমার মাঝি,শ্রীকান্ত মন্ডল,প্রসেনজিৎ সরকার,রমজান আলী সত্যব্রত ভান্ডারী,অঞ্জন কুমার দাসদের নিয়ে  তারা মোট আটজন ঢাকা রওনা হলেন আজ। চন্দননগর স্ট্যান্ডে ভাষা শহীদ স্মারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাইকেল যাত্রা শুরু করেন তারা। পাঁচদিন সাইকেল চালিয়ে রানাঘাট, গেঁদে, চুঁয়াডাঙা হয়ে কুষ্টিয়া পাবনা কাশিনাথপুর মানিক গঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৌঁছবেন। সেখানে ভাষা দিবসে যোগ দিয়ে ফিরবেন সাইক্লিস্টরা।

শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,বাংলাদেশের ঢাকায় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো এবং দুই বাংলার মানুষের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করা,সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই যাত্রা। সাইক্লিস্ট দলের একমাত্র মহিলা সদস্য মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,এত দূর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা নিয়মিত সাইকেল চালানো অভ্যাস করেছি। গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ২৫-৩০ কিলোমিটার করে সাইকেল চালিয়েছি। ঠিক ঠাক ভাবে যদি আমরা যেতে পারি তাহলে ছয় দিনের মধ্যে আমরা ঢাকায় পৌঁছে যাব।দুই দেশের মেলবন্ধনই আমাদের উদ্দেশ্য।গত বছর গিয়েছিলাম বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে আমাদের ভালোবাসা দিয়েছে সেটা ভুলতে পারিনি সেই কারণেই আরো এবারেও যাচ্ছি।  সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্ট জয়ী পিয়ালী বসাক,পায়ে হেঁটে কলকাতা থেকে লাদাখ গিয়েছিলেন সিঙ্গুরের যে যুবক সেই মিলন মাঝি।

পিয়ালী বলেন,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চন্দননগর থেকে সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছেন আটজন। দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী এবং সুসম্পর্ক গড়ে তোলা তাদের উদ্দেশ্য। ওনাদের দলে একজন মহিলাও রয়েছেন। সমস্ত রকম অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস আমাদের দেশে অনেক এগিয়ে গেছে। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস করা ভালো কারণ এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তি পাওয়া যায় এবং এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস এর জন্য সরকারেরও এগিয়ে আসা উচিত।

Comments :0

Login to leave a comment