দিনভর গ্রামে দাপিয়ে বেড়ালো দলছুট হাতি। নষ্ট করল চাষের ফসল। আতঙ্কে দিন কাটালেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকাল বেলা একটি দলছুট হাতিকে গ্রামের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখেন গ্রামবাসীরা। ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির পাশে হাতি দেখতে পেয়ে চোখ কপালে উঠে যায় গ্রামবাসীদের। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে গ্রামবাসীদের মধ্যে। রাত থেকে চলছিল ছিপছিপে বৃষ্টি। আর বৃষ্টির সকালে সোনাখালি বস্তিতে হাতি দেখে সাথে খবর দেওয়া হয় নিকটবর্তী সোনাখালী বিটের বন কর্মীদের। তবে বনকর্মীরা এসে নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। ততক্ষণে হাতি গ্রামের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটোছুটি করতে করতে নষ্ট করে লঙ্কা ক্ষেত ঝিঙ্গা ও করলা ক্ষেত। এরপরেই খবর দেওয়া হয় মরাঘাট রেঞ্জ ও বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বন কর্মীদের। শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে হাতি টিকে জঙ্গলে ফেরাতে পারেনি, বনকর্মীরা। এখনো গ্রামের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে হাতি টি।
বাবুল হোসেন কৃষক বলেন, সকালবেলা গ্রামের মধ্যে একটি হাতি ঢুকে পড়ে আমার ফসল নষ্ট করে ফেলেছে। ঝিঙ্গা করলো ক্ষেত নষ্ট করেছে। আমরা নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম।
জিহারুল ইসলাম বাসিন্দা বলেন, বনদপ্তর কর্মীরা এসে শুধু দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। আর হাতি একটার পর এক ফসল নষ্ট করেছে। কে দেবে আমাদের ক্ষতি পূরণ। জঙ্গলে খাবার অভাব, তাইতো হাতির লোকালে গ্রামে চলে আসছে।
মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, সকাল থেকে বনকর্মীরা হাতে থেকে পাহারা দিয়ে রেখেছিল। কারণ চারদিকে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল তাই হাতিকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর হাতি টিকে তাড়িয়ে ফের সোনাখালীর জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ দেবে বনদপ্তর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে তাদের।
Elephant Dhupguri
সোনাখালি এলাকায় হাতি, নষ্ট করল ফসল
×
Comments :0