এই তীব্র তাপদাহে জলের জন্য শুধু সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে তা নয় এ বছর যে তীব্র দাবদাহ চলছে তাতে বনের পশুপাখিরাও জল কষ্টে রয়েছে। একটু জলের জন্য তাদেরকেও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, ঝালদা, কোটশিলা, বাঘমুন্ডি প্রভৃতি বনাঞ্চলে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে পাখিদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য গাছে গাছে মাটির পাত্র টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সকাল বিকাল জল দিচ্ছেন বন কর্মীরা। গভীর জঙ্গলের মধ্যে জলাশয়গুলো ও সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। যাতে জঙ্গলের জন্তু-জানোয়ারেরা গরমের থেকে বাঁচার জন্য সেই জলে আশ্রয় নিতে পারে বা তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে। পুরুলিয়া সুরুলিয়ায় মিনি জুতে জু কর্তৃপক্ষ হরিণ, গন্ডার প্রভৃতির জন্য ছোট ছোট জলাশয় খনন করে দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে গরমের হাত থেকে বাঁচতে সেই জলের ভেতরে অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছে জু তে থাকা জন্তুরা।
এ বছর পুরুলিয়া তাপমাত্রা অধিকাংশ দিনই ৪২ ডিগ্রির ওপরে থাকছে। বহু এলাকায় জলাশয় গুলি একেবারে শুকিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের যেমন তীব্র জলকষ্ট রয়েছে ,তেমনি পাখিদের অবস্থাও সঙ্গীন হয়েছে। বনদপ্তরের দাবি তৃষ্ণার জল নিবারনের জন্য এক জায়গা থেকে তাদের অন্য জায়গায় উড়ে যেতে হচ্ছে। পাখিদের সুবিধার জন্য জঙ্গলের বিভিন্ন গাছে জলের পাত্র টাঙিয়ে দিয়েছে বনদপ্তর। বনকর্মীরা নিয়ম করে সকাল বিকাল সে পাত্রে জল রেখে দিচ্ছেন। রংবেরঙের পাখিরাও দল বেঁধে এসে সেই পাত্র থেকে জল খাচ্ছে। অনেক সময় সেই জলে গাও ভিজিয়ে নিচ্ছে। ওই গাছে যাতে পাখিরা বাসা বাঁধতে পারে সেজন্য বনদপ্তর মাটির হাড়ি বেঁধে দিয়েছে।
বনদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে যেসব এলাকায় পাখিদের আনাগোনা বেশি রয়েছে সেখানেও জলের পাত্র বসাবার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে মানবাজার ২ বনাঞ্চল রেঞ্জের জামাতোড়িয়া ও ডাঙ্গরডি বিট অফিসে ৩০ টি জলের পাত্র এবং কুড়িটি পাখির বাসা, বান্দোয়ান এক ও দুই বনাঞ্চল মিলিয়ে ৩০ টি জলের পাত্র, বরাবাজারের বামুনডিহা ও সিন্দরিতে ৩০ টি, বান্দোয়ানের যমুনা বনাঞ্চলের কুইলাপাল নান্নাতে ৫০টি জলের পাত্র ও ৪০টি হাড়ি বসানো হয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে কাঠঠোকরা, বউ কথা কও, কোকিল, মৌটুসী, বুলবুলি, শালিক, কাক, ঘুঘু প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের পাখি জল খেতে আসছে। পাখিদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে সেদিকেও নজর রয়েছে বন কর্মীদের।
Birds Drink Water
পাখিদের তেষ্টা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ
×
Comments :0