Md Salim Coochbehar

কোচবিহারে বিরাট প্রতিবাদী মিছিলে সেলিম

রাজ্য জেলা

রবিবার কোচবিহারে প্রতিবাদ মিছিল।

জয়ন্ত সাহা ও অমিতকুমার দেব 

কোচবিহার 

৯ জুলাই ধর্মঘট ভাঙতে সিপআই(এম  ) নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । তার প্রতিবাদে মিছিল ও সভা হযেছে কোচবহার শহরে।  

সভায় সেলিম বলেন, সেলিম বলেন, বিজেপি দেশ জুড়ে বাংলাভাষীদের বিদেশি বলে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করতে চাইছে। রাজ্যের শাসক দলের সাংসদেরা এর বিরুদ্ধে সংসদে সোচ্চার হননি, ভিনরাজ্যে আক্রান্ত এরাজ্যের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াননি, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগও নেয়নি। একমাত্র লালঝান্ডাই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। 

তিনি বলেন,  দুষ্কৃতীদের বাহিনী তৃণমূলে এখন নিজের দলের কর্মীরাও নিরাপদ নন; বাঁচতে চাইলে এখনই তৃণমূলের ঝান্ডা ফেলে বেরিয়ে আসুন তৃণমূল থেকে। 
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূলের কর্মীদেরই খুন ধর্ষণের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ভাঙড়ে তৃণমূলের হাতেই তৃণমূলের লোক খুন হয়েছে; এখন বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে তৃণমূল। 
বিজেপি সরকারের শ্রমজীবী বিরোধী নীতির প্রতিবাদে গত ৯ জুলাই ধর্মঘটের দিন এরাজ্যে তৃণমূল দল ও তার দলদাস পুলিশ ধর্মঘট ভাঙতে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কোচবিহার জেলায় সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক সহ শতাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল। এর প্রতিবাদেই রবিবার কোচবিহার শহরে পার্টির জেলা দপ্তরের সামনে থেকে সিপিআই(এম) কর্মীরা ধিক্কার মিছিল বের করেন। মিছিলে যোগ দেন পার্টির কোচবিহার জেলা নেতৃবৃন্দ সহ মহম্মদ সেলিম, পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য কমিটির সদস্য অলকেশ দাস। মিছিল শেষে সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাস্তায় আন্দোলনের পাশাপাশি যে পুলিশকর্মীরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের ওপরে আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইও করা হবে। 
এদিন মিছিল শেষে মহম্মদ সেলিম বলেন, এরাজ্যে কোনও অপরাধের ন্যায়বিচার হয়নি। ইডি, সিবিআই যেসব তদন্ত করছিল সেগুলি তৃণমূল এবং বিজেপি সেটিং করে হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন একের পর এক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রীদের নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। প্রতিটি ঘটনার পেছনে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের প্রশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা। 
মিছিল শেষে সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ধর্মঘটের দিন সারা রাজ্যে পুলিশ ধর্মঘটীদের মেরেছে, মহিলা বয়স্ক কেউ রেহাই পাননি। পুলিশের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে সেদিন ধর্মঘটীদের লালঝান্ডা খুলে মাটিতে ফেলে মাড়িয়েছে তৃণমূলীরা। রাজ্যের মেহনতি মানুষ, ছাত্র- যুব- মহিলা –শ্রমিক-কৃষকরা এর সমুচিত জবাব দেবেন। বুথে বুথে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নিজের নিজের অঞ্চলে কোমরের জোর শক্ত করে রাজ্যকে বাঁচাতে এই লড়াইকে জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করে সিপিআই(এম)’র জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, ধর্মঘটের প্রভাবে তৃণমূল ভয় পেয়ে আমাদের আটকাতে নেমেছিল। তাদের দলদাস পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করেও ধর্মঘট ভাঙতে সফল হয়নি। 
ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ২নং ব্লকের নিশিগঞ্জ মধুসূদন হোড় কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি হচ্ছে সরকার পোষিত বিদ্যালয়, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন নতুন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। তার অন্যতম বড়ো উদাহরণ কোচবিহার পুন্ডিবাড়িতে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এখন স্কুল কলেজ বন্ধের খবর আসছে। 

Comments :0

Login to leave a comment