বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরে যান্ত্রিক গোলযোগের মুখে পড়ে ভারতীয় সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টার। সেই ঘটনায় এক জওয়ান প্রাণ হারান। আহত হন হেলিকপ্টারের দুই পাইলট। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, শনিবার বাহিনীর সমস্ত ধ্রুব হেলিকপ্টারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘গ্রাউন্ড’ বা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ধ্রুব হেলিকপ্টার নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বড়াইয়ের শেষ নেই। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের মুখ হিসেবে ধ্রুব হেলিকপ্টারের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সেই হেলিকপ্টারকে বসিয়ে দেওয়ার ফলে বিজেপি সরকারের মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে থাকা ধ্রুব হেলিকপ্টারগুলিতে। তারফলে তাঁদের উড়ানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ আছে বলে সূত্রের খবর। তারমধ্যেই স্থল সেনার তরফেও ধ্রুবের উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি হল।
ইতিমধ্যেই তিন বাহিনীর তরফে ধ্রুবের নির্মাতা বেঙ্গালুরুর হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। হ্যালের প্রযুক্তিবিদদের ছাড়পত্র মিললেই ফের আকাশে ওড়ান ছাড়পত্র পাবে ধ্রুব কপ্টারগুলি।
তিন বাহিনী সূত্রে খবর, মাঝ আকাশে ওড়ার সময় হঠাৎ করেই হেলিকপ্টারগুলিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। তারফলে আপৎকালীন ভাবে মাটিতে নামতে হচ্ছে। সামরিক পরিভাষায় একে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হয়। মার্চ মাসে নৌবাহিনীর একটি ধ্রুব বাধ্য হয় আরব সাগরের উপর হার্ড ল্যান্ডিং করতে। সেই মাসেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার কোচিতে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। সেই রেশ মেলাতে না মেলাতেই জম্মুতে হার্ড ল্যান্ডিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল স্থলসেনার কপ্টার।
Comments :0