kidnap

দেয়নি মজুরি, উল্টে অপহরণ, মুক্তি পনেরও দাবি তৃণমূল নেতার

জেলা

শঙ্কর ঘোষাল

কাজের টোপ দিয়ে তামিলনাড়ু নিয়ে যাবার পর কাজ করিয়ে পয়সা না দেওয়া ও মজুরীর টাকা চাইলে মারধোর করে অপহরনের অভিযোগ দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমা পড়লো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। অপহরনকারীর নাম তৃণমূল নেতা সাদ্দাম সেখ ও তাঁর ভাই আলমগীর সেখ। ঘটনা ঘটেছে মেমারী থানার বড়পলাশন অঞ্চলের মির্জাপুর গ্রামে। 
ছেলের অপহরনের অভিযোগ নিয়ে মা শারমিনা মোল্লা প্রথমে যান মেমারী থানায়। ৩দিন ধরে ঘুরেও অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তৃণমূলের অপহরনকারীদের বিরুদ্ধে। অপহরনকারী যেহেতু তৃণমূল করে তাই তাঁদের ফিরিয়ে দেয় থানার আইসি। বলা হয় এখানে কেস হবে না। জমি জমা বিক্রি করে তামিলনাড়ুতে গিয়ে মুক্তিপন দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে। এরপর থানায় বিচার না পেয়ে শারমিনা মোল্লা পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। 
অভিযোগ ৪ বছর আগে শারমিনা মোল্লার ছেলে সোয়েল মোল্লাকে সোনার কাজ দেবে বলে গ্রাম থেকে নিয়ে যায় তৃণমূলের নেতা সাদ্দাম ও আলমগীর। ৪ বছর কাজ করিয়ে বেতন ঠিক মতো না দেবার ফলে সোয়েলের পাওনা হয় প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা মজুরী। অভিযোগ, সেই টাকা না পেয়ে সোয়েল বাড়ি চলে আসে। তারপর কিছুদিন পর সাদ্দাম ও আলমগীর টাকা দেবার কথা বলে তামিলনাড়ু ডেকে নিয়ে গিয়ে অপহরন করে। তারপর উলটে ২০লক্ষ টাকা মুক্তিপন চেয়ে শারমিনা মোল্লাদের কাছে ফোন আসতে শুরু করে। টাকা না দিলে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সাতগেছিয়া ফাঁড়ি ও মেমারী থানায় অপহরনের অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তিন দিন ঘুড়িয়ে তাঁদের অপহরনকারীদের সাথে টাকা দিয়ে মিটিয়ে নিতে বলে। কিন্তু বাড়ি, জমি বিক্রি করে ২০ লক্ষটাকা মুক্তি পন দেবার ক্ষমতা ছিলনা এই পরিবারের তাই বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।

Comments :0

Login to leave a comment