নেপালে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হলো এক ভারতীয় পর্যটকের। ৫৭ বছর বয়সী উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাজেশ গোলা পরিবারের সাথে নেপাল গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা নেপালে চলতে থাকা আন্দোলনে আটকে পড়েন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর উত্তরপ্রদেশের এই বাসিন্দা যেই হোটেলে ছিলেন সেখানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারিদের পক্ষ থেকে। রাজেশ গোলা এবং তার স্বামী রামবীর সিং গোলা পালানোর চেষ্টা করেন হোটেল থেকে। জানা যাচ্ছে হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় বাইরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের বাঁচানের জন্য নীচে মোটা চাদর বিছিয়ে তার ওপর ঝাঁপ দিতে বলেন। ওই দম্পতি চার তলা থেকে ঝাঁপ দেয় প্রাণে বাঁচার জন্য।
দুইজনকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহতের স্বামীর কম আঘাত থাকায় তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
মোট ২৬টি, নথিভুক্ত নয়, এমন অ্যাপ সরকার বন্ধ করার পর থেকে বিক্ষোভ ছড়ায় নেপালে। ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলিতে নেপালে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী রয়েছেন।
নেপাল সরকারের এই পদক্ষেপ জনগণ, বিশেষ করে, অল্পবয়সীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলেছে। কাঠমান্ডুতে প্রবল বিক্ষোভ চলে।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে চলে বিক্ষোভ ভাঙচুর।
নেপালে যারা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন তাদের বেশির ভাগটাই যুববয়সী। কোন বারনৈতিক পরিচয় নেই তাদের, নেই কোন রাজনৈতিক সমর্থনও। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কাদের সমর্থনে এই আন্দোলন ব্যাপক চেহারার আকার নিলো এবং সরকারের পতন ঘটালো। এই বিক্ষোভের পিছনে হামি নেপাল বলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা ২০১৫ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি হয়। গত কয়েক দিন এই সংস্থাকে বলতে শোনা গিয়েছে সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। ছাত্র ছাত্রীদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে প্রয়োজনে স্কুলের জামা পড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হতে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে এই স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা বেশ কয়েকবার বিদেশী অনুদান রয়েছে। তাতে কোকাকোলারও অনুদান রয়েছে বলে জানাচ্ছে একাংশ। ভুবনেশ্বরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংস্থা এবং তার ঘনিষ্টদের সরব হতে দেখা গিয়েছে, প্রচারেও নামতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে একাংশ। সামাজিকমাধ্যমে নিশেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সেদেশের আইন না মানার অভিযোগকে সামনে রেখে। নেপালের সুপ্রিম কোর্ট এই মর্মে নির্দেশও দিয়েছিল, সেই নির্দেশ এখন প্রয়োগ করা হলো কেন তা অস্পষ্ট। তবে নেপালের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য সরকারের দুর্নীতি এবং স্বজন পোষন এই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।
Nepal
নেপালে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু ভারতীয় পর্যটকের

×
মন্তব্যসমূহ :0