দীর্ঘ লড়াই এর ফলে গোটা রাজ্যের সাথে জলপাইগুড়ি জেলায় নিয়োগপত্র পেলেন ১৪৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য ৯৫৩৩ জনের প্যানেল প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া চলে জলপাইগুড়ি ডিপিএসসি অফিসে। চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতৃত্ব শাহরুখ আলম জানান এই নিয়োগ তাদের আন্দোলনের ফসল। ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে লিস্ট প্রকাশ, পরীক্ষা নেওয়া সহ সব ক্ষেত্রেই তাদের এই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কার্যালয়ে এসে আন্দোলনে বসতে হয়েছে। সরকারি টালবাহানার বিরুদ্ধে মামলা জিতে তবেই তাদের নিয়োগ হচ্ছে।
মূলত এই প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২২ সালের হলেও বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছেন।২০১৭ সালে আন্দোলনের মাধ্যমেই টেটের ফর্ম ফিলাপ এর সুযোগ পান চাকরিপ্রার্থীরা।এরপর দীর্ঘ টালবাহানা শেষে ২০২১ সালের ৩১ শে জানুয়ারী টেট পরীক্ষা হলেও রেজাল্ট প্রকাশ করতে আরও ১ বছর দেরি করে করে পর্ষদ। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারী টেটের রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারভিউ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলেও আইনি জটিলতায় প্যানেল প্রকাশ আটকে যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। অবশেষে চলতি বছরের ২৯ শে জানুয়ারী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং আসাউদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ৯৫৩৩ জন চাকরি প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশিত হয় । তারই অংশ হিসেবে জলপাইগুড়ি জেলার ১৪৮ জন শিক্ষকের কাউন্সিলিং হয় বৃহস্পতিবার।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডিপিএসসি জলপাইগুড়ি দপ্তরের বাইরে চেয়ার টেবিল পেতে ক্যাম্প করে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ কাউন্সিলিং করতে আসা প্রাথমিক শিক্ষকদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
Comments :0