dyfi activist attack

হুগলীতে তৃণমুলের হামলায় রক্তাক্ত যুবকর্মী, লড়াই থামবে না বললেন সেলিম

রাজ্য জেলা

ভাস্তারা পঞ্চায়েতে ডেপুটেশনে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীর হাতে আক্রান্ত ডিওয়াইএফআই নেতা সুপ্রভাত দাস। প্রতিবাদে গুড়াপ থানায় বিক্ষোভ। ছবি- অভীক ঘোষ।

১০০ দিনের কাজের দাবিতে পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আক্রান্ত সিপিআই(এম)। মাথা ফাটলো এক যুব নেতার। প্রতিবাদে গুরাপ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলায় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। এফআইআর হয় ৬ তৃণমূল নেতা সহ আরও বেশ কিছুজনের নামে।

একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার ঘর সহ একাধিক দাবিতে সোমবার ভাস্তারা গ্ৰাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল সিপিআই(এম)'র। ভাস্তারা পার্টি অফিস থেকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে সোমবার ভাস্তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে উপস্থিত হন সিপিআই(এম) নেতাকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ডেপুটেশন দিতে চান বলে মাইকে ঘোষনা করতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ বাদে পুলিশের উপস্থিতিতে পাঁচজনের প্রতিনিধি দল পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে পঞ্চায়েতের ভেতরে থাকা দেড়শর বেশি তৃণমূল কর্মী আক্রমণ করার জন্য এগিয়ে আসে। সেই সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন ডিওয়াইএফআই নেতা সুপ্রভাত দাস। তাঁর উপর আক্রমণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। মাথা মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়ে। আক্রান্ত হন বহু সিপিআই(এম) কর্মী। (দেখুন ভিডিও)
সুপ্রভাত দাস কে পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে গুরাপ থানা ঘেরাও করেন ধনেখালির সিপিআই(এম) কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও চলতে থাকার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। অসীম পাঠক, মানিক হাঁসদা, আব্বাস উদ্দিন মন্ডল, তপন মুখার্জী, শিশির ঘোষ, শেখ রফিক সহ বেশ কিছু জনের নামে এফআইআর করা হয়। ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন সুনীল বাগ, বন্যা টুডু সহ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত হন ডিওয়াইএফআই হুগলি জেলা সম্পাদক জয়দীপ মুখার্জি ও সভাপতি প্রতীক চক্রবর্তী।



ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "হুগলির এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস রয়েছে। এখনো সন্ত্রাস চলছে। পঞ্চায়েতে যে লুটতন্ত্র আছে ১০০ দিনের কাজের প্রশ্নে চারের ক ফ্রম নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে বামপন্থীরা আন্দোলন করছেন এবং আগস্ট মাসের প্রতিটা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ অবস্থান চলেছে। ১০০ দিনের কাজের আইন রয়েছে। এই আইন প্রয়োগ করছে না কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকার সেই আইনে যারা গ্রামীণ বেকার তাঁদের কাজের ব্যবস্থার জন্য আইন বামপন্থীরা করেছিল ইউপিএ ওয়ান সরকারের সময়। সেই আইনকে প্রয়োগ করার দাবিতে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন যাওয়া হচ্ছে, তখন হামলা করা হচ্ছে। হামলা যারা করছে তারাই ১০০ দিনের টাকা চুরি করেছে এবং এদের জন্যই ১০০ দিনের কাজ বন্ধ আছে। হামলা করলে মানুষ পিছিয়ে যাবে না। গরীব মানুষ তাঁর অধিকার রক্ষার জন্য পঞ্চায়েত অভিযান করছেন, ব্লক অফিস অভিযান করছেন। অধিকার তাঁরা ছিনিয়ে আনবেনই।" 

Comments :0

Login to leave a comment