High Court Student's Union election

সরকার চেয়েছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক, হাইকোর্টে মিথ্যা দাবি রাজ্যের

রাজ্য

রাজ্য সরকার চেয়েছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে, কিন্তু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষের তরফ থেকে কোন সদিচ্ছা দেখানো হয়নি। রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলার শুনানিতে এমনই আজব কথা শোনালেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। ২০১৭ সালের পর থেকে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে যেমন পথে নেমেছে এসএফআই, তেমন তারা আদালতে মামলাও করেছে।
এদিন শুনানিতে কল্যাণ বলেন, ‘‘ছাত্রভোট করাতে কোথাও বাধা দেয়নি রাজ্য। এমনকি, ভোট করানোর জন্য সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। কিন্তু কলেজগুলিই উদ্যোগী হয়নি।’’ 
পাল্টা মামলাকারিদের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন কোন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনিহা দেখিয়েছে সেই তথ্য রাজ্যকে জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। তিনি বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যদি ভোট না হয় সেই দায়ও রাজ্যের।
বিচারপতি সুজয় পাল এবং সুস্মিতা দাস দে’র ডিভিসন বেঞ্চ জানিয়েছে এই মামলায় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পক্ষ করে মামলায় যুক্ত করতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসে পরবর্তী শুনানি হবে বলে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে ১৭ জুলাই বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয় দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের কলেজ  বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার। সেদিন রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি জানান যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য থাকায় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারছে না রাজ্য সরকার। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাতের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যের প্রস্তাবিত ছাত্র কাউন্সিল নিয়ে মামলা চলছে আদালতে, তাই এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার নির্দেশ না দেওয়া উচিত। 
হাইকোর্টে পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে রাজ্যের কলেজ গুলোয় যেই পরিচালন সমিতি গুলো আছে তা রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করতে হবে। পরিচালন সমিতির মাথায় বসাতে হবে শিক্ষাবিদদের।
সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনার পর রাজ্যের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ঘর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের পর থেকে রাজ্যে বন্ধ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে একাধিক বার দাবি তোলা হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার। বিকাশ ভবন অভিযানও হয়েছে এই দাবিতে। কিন্তু প্রতিবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে নির্বাভন হবে কিন্তু হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে ছিলেন গত বছর শারদীয়ার পর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে, তাও করেনি সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment