voter list

প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ না পড়ে, সচেষ্ট থাকবে সিপিআই(এম): সেলিম

রাজ্য

সংসদে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক সমবেত ভূমিকা নিচ্ছে। তৃণমূল সর্বদাই ‘যখন যেমন তখন তেমন’। প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বিল নিয়ে তৃণমূলের নিজস্ব কিছু ভাবনা থাকতে পারে। তবে তৃণমূল কেবল কালীঘাটের নির্দেশে চলে না, চলে নাগপুরের নির্দেশেও। 
সংবিধানের ১৩০ তম সংশোধনী বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ৩০ দিন হেপাজতে থাকলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীর পদ খারিজ হয়ে যাবে এই বিল পাশ হলে। বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদে বিল পাঠানো হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে। সেই কমিটিতে না থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তৃণমূল। বলা হয়েছে মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বে যৌথ সংসদীয় কমিটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তা নিয়েই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। 
তিনি এই বিলের সমালোচনায় বলেন, দুর্নীতি দমনের আইন রয়েছে। কিন্তু আইন সবার জন্য সমান না। মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে যারা দল ভেঙে বিজেপি’র সঙ্গে এসেছে তাঁদের দুর্নীতির তদন্ত থেমে গিয়েছে। বিরোধীদের ধরে ধরে লক্ষ্য করছে কেন্দ্রের ইডি-সিবিআই। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিরোধীদের বেলায় নিয়ম আলাদা। মুখ্যমন্ত্রী বা ভাইপোর নাম এলেই চুপ করে যাচ্ছে ইডি-সিবিআই। অমিত শাহ দুর্নীতি দমনের আইন প্রয়োগ করছেন। এই বিল এনেছেন বিরোধী পরিচালিত বিভিন্ন সরকারকে অস্থির করে তুলতে। 
দুর্গাপুজোয় হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি টাকা কোষাগার থেকে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবকে দিচ্ছেন ভোটের স্বার্থে। পুজো আসল উদ্দেশ্য নয়। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। নির্দেশ দিতে হবে। 
এই প্রসঙ্গেই এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, কোষাগারের অর্থ অপব্যবহারে মোদী দিদি সমান। মোদীকেয়ারের নামে করোনার সময় হাজার হাজার কোটি টাকা তোলা হলেও হিসেব দেওয়া হয়নি। এখানে পুজোর নামে খরচের হিসেব দেওয়া হচ্ছে না। কোষাগারের অর্থ বিনা হিসেবে খরচ করা দুর্নীতি। দুজনেরই দুর্নীতি রয়েছে। 
ফরক্কায় বাস কন্ডাক্টরকে হেনস্তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। তিনি বলেন, আমরা কারমাইকেল হস্টেলের ঘটনা দেখেছি, বাংলা বলায় আক্রমণ কলকাতায়। আরএসএস ধর্ম এবং ভাষার নামে আলাদা করা। তৃণমূলও তাই করছে। নয়া ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনা হচ্ছে। আমাদের রাজ্য তা থেকে আলাদা নয়। তৃণমূল মমতার নেতৃত্বে আলাদা ঢঙয়ে আরএসএস’র কৌশল প্রয়োগ করছে। আসলে খেটে খাওয়া মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। 
সেলিম বলেন, আমরা বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। প্রত্যেকে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ধারাকে কটাক্ষ করা যায় না। মানুষের অধিকারকে স্বীকার করতে হবে। কেউ কারও ওপর পছন্দ চাপিয়ে দিতে পারে না। এখান থেকেই আধিপত্যবাদ সক্রিয় হয়। 
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এসআইআর-এ কানমলা খেয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার কথা আমরা সবসময় বলি। তা করা হয়নি। কিন্তু এসআিআর’র নামে সবাইকে সন্দেহের তালিকায় ফেলা হয়েছে। প্রমাণের দায় তাঁদের ওপর চাপানো হচ্ছে। আমরা রেড ভলান্টিয়ারের মতো মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইসিআই’র এই চেষ্টার প্রতিবাদের পাশাপাশি হাতেকলমে সাহায্য করবে। যাতে দেশের কোনও নাগরিক বঞ্চিত না হয়। 
সেলিম বলেন, কমিশনকে দেখেছি শাসক দলের তল্পিবাহক। তমন্না খুনে দেখলাম কমিশন নির্বাক। আমরা মুর্শিদাবাদের ভোটের পর বলেছিলাম ভোটার লিস্ট থেকে গণনায় কারচুপি হয়েছে। আজ হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সমানে এসেছে।
এসআইআর’র উদ্দেশ্য নাম বাদ দেওয়া। বঞ্চিত প্রান্তিক অংশই সবচেয়ে বিপদে। বিহারে তা প্রমাণিত। তৃণমূল টাকা খাবে। বিজেপি নিজেদের নামে কার্ড দেবে। সিপিআই(এম) পাশে থাকবে।

Comments :0

Login to leave a comment