SFI ALL INDIAN CONFERENCE

ক্যাম্পাস থেকে রাজপথ, লড়াইয়ের ময়দানে এসএফআই

জাতীয়

শিক্ষা ক্ষেত্রে আরএসএস’র আক্রমণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে তৃণমূলের গুন্ডামি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি। সব কিছুই উঠে আসছে এসএফআই’র সর্বভারতীয় সম্মেলনের প্রতিনিধিদের আলোচনায়। 

মঙ্গলবার খসড়া প্রতিবেদন পেশ করেন এসএফআই’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস। বুধবার থেকে প্রতিবেদনের ওপর শুরু হয়েছে আলোচনা। কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রতিনিধি এখনও পর্যন্ত আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।  

কেরালার প্রতিনিধি আলোচনার সময় বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে হিন্দুত্ববাদী দর্শন এবং বিভাজনের যেই রাজনীতি আরএসএস ছড়াতে চাইছে তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, রাজ্যে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী এবং বিঞ্জান মানসিকতার পক্ষ অবস্থান নেওয়ায় এই লড়াইতে তাদের কিছুটা সুবিধা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধির আলোচনায় উঠে আসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি। শিক্ষা ক্ষেত্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব থেকেছে এসএফআই। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রতিনিধি বলেন যে, ‘রাজ্যে এসএফআই এবং শিক্ষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা বার বার শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এখন সেই সব কিছু তদন্তের মাধ্যমে সামনে আসছে।’ গত সম্মেলন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলায় এসএফআই’র গুনগত পরিবর্তন হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে। গত তিন বছরে তৃণমূলের আক্রমণকে উপেক্ষা করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গুলিতে যে ভাবে এসএফআই সংঘঠনের পরিধি বাড়িয়েছে তা উল্লেখ পেয়েছে আলোচনায়। আলোচনার সময় বলা হয় যে, ‘তৃণমূলের আক্রমণের কারণে কয়েক বছর ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি এসএফআই। কিন্তু এখন সব ক্যাম্পাসে এসএফআই ঢুকছে। সংগঠন তৈরি হচ্ছে। এমনকি গ্রামের দিকের কলেজ গুলিতেও ইউনিট তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।’ করোনা অতিমারির পর সব কিছু খুলেও বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে যেই লাগাতার আন্দোলন এসএফআই চালিয়েছে তাতে সরকার বাধ্য হয় স্কুল কলেজ খোলার কথা ঘোষনা করে। সেই কথাও তুলে ধরা হয়েছে সম্মেলন মঞ্চে।

২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন বামপন্থী কর্মীরা। ভেঙে পড়েছে গনরতান্ত্রিক কাঠামো। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্ট সরকারের তৈরি গণ-শিক্ষার কাঠামো সম্পূর্ন ভাবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে আলোচনায় জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রতিনিধি। তার সাথে সাথে নয়া শিক্ষা নীতি প্রয়োগের কাজও চলছে। নয়া শিক্ষা নীতি অনুযায়ী উচ্চ-শিক্ষায় বাড়ছে প্রাইভেট নিয়ন্ত্রণ। আর এই সবের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারের শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরার এসএফআই কর্মীরা। এর পাশাপাশি গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে যেই লড়াই ত্রিপুরায় চলছে তাতেও সামলি হচ্ছেন তারা।

Comments :0

Login to leave a comment