সুদীপ দত্ত
আমাদের রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে একজোট হয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, রাজ্যের সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মোট ২ কোটি ২০ লক্ষ গ্রাহকের ঘরে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসাবে । কেন্দ্রের শর্ত অনুযায়ী, এই মিটার বসানোর আর তারপর থেকে তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে প্রাইভেট কোম্পানি। রাজ্যের সরকার লিফলেট ছাপিয়ে নানাভাবে প্রচার করার চেষ্টা করছে যে, এই মিটার লাগালে গ্রাহকরা লাভবান হবেন, যা এক নির্জলা মিথ্যা।
কেন সরকারি প্রচার যুক্তিহীন
সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী—
১) সরকারের বক্তব্য, এই বিলিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়, তাই এতে ত্রুটি কম হবে। অথচ অভিজ্ঞতা হলো বহু জায়গায় নতুন মিটার লাগানোর পর মিটার রিডিং অনেক দ্রুত হারে বাড়ছে। অনেক জায়গায় বিল আসছে দেড়-দু'গুণ বা তারও বেশি। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রের গ্রাহক ও দরিদ্র গ্রাহকদের ওপর বেড়েছে বিপুল বোঝা।
বিহারে মিটারে ত্রুটি থাকায় একসাথে ১৩,০০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে গেছে। মিটারে টাকা না থাকায় নিজে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে যাওয়ার পরে অভিজ্ঞতা হলো টাকা জমা করলেও দু’-তিন দিনের আগে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসছে না। বেসরকারি কোম্পানিকে ফোন করলে রেকর্ড করা আওয়াজ বেজেই চলে। সরকারি বিদুৎ সংস্থা এক্ষেত্রে তাদের কিছুই করার নেই জানিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো স্মার্ট মিটার খারাপ হলে দায়িত্ব নেবে কে? বণ্টন কোম্পানি না মিটার সরবরাহকারী সংস্থা?
২) সরকারের বক্তব্য হলো— মোবাইল আপের সাহায্যে নাকি সহজেই বিদ্যুৎ খরচ, প্রিপেড ব্যালান্স এসব দেখা যাবে। কিন্তু,বাস্তবটা কি? এর জন্য প্রয়োজন হবে খুব ভালো নেট সংযোগ। ভেবে দেখুন তো গ্রামের ভেতরে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কি সব সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে? আবার, মিটারের বিল সব সময় দেখতে হবে স্মার্ট ফোনে। স্মার্ট ফোন যদি না থাকে, যদি তাতে বিল দেখতে না পারেন, যদি ব্যালেন্স শেষ হওয়ার আগে রিচার্জ না করতে পারেন, তাহলে মাঝরাতেও কেটে যাবে লাইন। বিলের টাকা বেশি মনে হলে গ্রাহক কার্যত অভিযোগ করতেও পারবেন না। টাকা না ভরা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসবে না ।
মোবাইল পরিষেবার ক্ষেত্রে দৈনিক ২ (দুই) জিবি নেট ব্যবহারের জন্য টাকা ভরবার পরে, দ্রুত টাকা শেষ হয়ে গেলে কি আমরা আদৌ কিছু করতে পারি? পরিস্থিতি সেরকমই দাঁড়াবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও ।
৩) আরও বলা হয়েছে, মাসিক বিল পরিশোধের অপেক্ষা না করে আগে থেকেই রিচার্জ করতে পারা যাবে।
ব্যাপার হলো, এতদিন পর্যন্ত আমরা সরকারি সংস্থার মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতাম। আমাদের জানা থাকতো মাসের কখন বিল দিতে হবে, সেই অনুযায়ী টাকাও জোগাড় করে রাখা হতো এবং বিল দেওয়া হতো। এখনকার নিয়মে বিল মেটানোর শেষ তারিখের পরেও ১৪ দিন সময় পাওয়া আইনি অধিকার। অথচ, এখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করার আগেই প্রাইভেট কোম্পানিকে টাকা দিয়ে দিতে হবে। আমাদের দেওয়া আগাম টাকা দিয়েই ওরা ব্যবসা চালাবে। আর এদিকে মাসের যে কোনও সময় ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে সেই সময়ই টাকা জোগাড় করতে হবে, না হলে অন্ধকারে দিন কাটাতে হবে । ভেবে দেখুন, মাসের ২৬-২৭ তারিখ ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে কতজন সাধারণ মানুষ টাকা জোগাড় করতে পারবেন ?
৪) চতুর্থ পয়েন্টে বলা হয়েছে স্মার্ট মিটারে অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না, যা একটি ডাহা মিথ্যা কথা ।
এই মিটার বসানো হচ্ছে আরডিএসএস স্কিমে । এই প্রিপেইড স্মার্ট মিটারের দাম ও বসানো বাবদ খরচ ধরা হয়েছে মিটার প্রতি ৮,০০০-১২,০০০ টাকা। মিটারের আয়ু সর্বোচ্চ ৭-৮ বছর। চুক্তি অনুযায়ী মাসিক বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গেই মিটারের দাম আদায় করা হবে। মিটার ভাড়া বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মাসিক ১০ টাকা ছিল। প্রিপেড স্মার্ট মিটারের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ১০০ টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে। দ্বিতীয়ত, এই স্মার্ট মিটার বসানোর মাঝেই কেন্দ্রের সরকার নিয়ম চালু করেছে যে, যার ঘরে যখন থেকে স্মার্ট মিটার বসবে, সেখানে তখন থেকেই চালু হয়ে যাবে দিনের সময় অনুযায়ী বিদ্যুৎ মাশুল।
এতে সারা দিন রাতের বিদ্যুতের দামকে তিন পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা, সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ১১টা এবং রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। সন্ধ্যার সময় বিদ্যুতের চাহিদা ও দাম দিনের বেলার চেয়ে অনেকটা বেশি হবে। দাম এতটাই বাড়তে পারে যে আপনাকে সন্ধ্যাবেলা আলো পাখা বন্ধ করে অন্ধকারে থাকতে হবে ।
এ তো গেল সরকারের কথা ।
আরও কী কী হতে পারে
১) সকল গ্রাহকের ভরতুকি তুলে দেওয়া হবে এই নতুন মিটারিং ব্যবস্থায়। বিশেষ করে কৃষি ক্ষেত্রের গ্রাহকদের লাইন আলাদা করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো তাদের ভরতুকি তুলে নেওয়া। ফলে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে বহুগুণ। ৩.৫০ লক্ষের বেশি যে পাম্পের কানেকশন আমাদের রাজ্যে রয়েছে, তার ওপর নামবে বিপুল বিলের বোঝা। একটি ৭.৫ হর্স পাওয়ারের পাম্প এক বেলা করে চালালে মাসে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা বিল দিতে হবে। ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের নামে তুলে দেওয়া হবে ভরতুকি, রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে ভরতুকি তুলে দিয়ে কি হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি ।
২) সরকারি সংস্থাকে বিদ্যুৎ কিনে নিজের পরিকাঠামোর মাধ্যমে গ্রাহককে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হবে, অথচ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ নিজের সরবরাহ করা বিদ্যুতের টাকা আদায়ের জন্য এক তৃতীয় বেসরকারি সংস্থার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বে ।
৩) প্রাইভেট সংস্থা এই স্মার্ট মিটারের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে লাভজনক এলাকায় বিদ্যুৎ বণ্টন লাইসেন্সের আবেদন করবে। সরকারি সংস্থার লাইন, সাবস্টেশন সব ব্যবহার করবে আদানি, টাটা। সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার করে প্রাইভেট কোম্পানি বাজার দখল করবে। একবার বাজার দখল হয়ে গেলে বিদ্যুতের দাম চড়া হবে কর্পোরেটের ইচ্ছেমত, যেমন হয়েছে জিও নেটওয়ার্ক আসার পর ।
বিদ্যুৎ বণ্টনের জন্য সরকারি সংস্থার হাতে পড়ে থাকবে সবচেয়ে অলাভজনক গ্রামীণ ও কৃষি এলাকা। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ আর্থিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। ভেঙে পড়া রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ হয় পুরোপুরি বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থার হাতে চলে যাবে, নয়তো গ্রামীণ ও দরিদ্র অঞ্চলে হবে ব্যাপক অবিদ্যুতায়ন, আবার ফিরে যেতে হবে কেরোসিনের লণ্ঠন বা কুপি’র যুগে।
৪) যে সকল গ্রাহকের কন্ট্রাকচুয়াল লোড অর্থাৎ যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময়ে, কিন্তু সেই ঘোষণার চাইতে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে যায়, তারা বিপদে পড়বেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত ঘোষণা এবং ব্যবহার করা বিদ্যুতের পরিমাণ ঠিক না করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মিটার ঘন ঘন বন্ধ হয়ে যাবে, বারবার দৌড়াতে হবে অফিসে ।
৫) গত এক দশক ধরে সরকারি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে সরিয়ে ক্রমাগত বিদ্যুতের গ্রাহককে বাজারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম গত বছরে ১২ টাকা থেকে বেড়ে হয়ে গিয়েছিল ৫০ টাকা, স্মার্ট মিটারিং ব্যবস্থার ফলে একজন গ্রাহক সরাসরি এই খোলা বাজারের হাতে পড়ে যাবেন। আর বাজারের প্রাইভেট মালিকদের হাতে চলে যাবে বিদ্যুতের চাহিদার-জোগানের এক বিপুল পরিমাণ তথ্য (ডেটা) সম্ভার । তাদের ইচ্ছেমত বদলে যাবে জোগান আর বিদ্যুতের দাম ।
৬) সাইবার হামলা হলে গোটা দেশের গ্রিড ব্যবস্থা বসে যেতে পারে। যে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের নির্দেশে এই ব্যবস্থা চাপানো হয়েছে, তারা পর্যন্ত বলছে এই প্রযুক্তি বিপজ্জনক এবং কেন্দ্রের সরকার কোনও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতেই পারে ।
৭) আমাদের রাজ্যে মিটার রিডিং-এ নিযুক্ত কর্মী সংখ্যা প্রায় ৬,৫০০। সরাসরি এক ঝটকায় এদের কাজ চলে যাবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় SCADA কন্ট্রোল রুম থেকে যে সকল সাবস্টেশনের অপারেশন নিয়ন্ত্রিত হবে, সেগুলোতে কর্মীদের প্রয়োজন থাকবে না। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে বিল সংক্রান্ত কাজ প্রায় থাকবে না বললেই চলে। ক্যাশ কালেকশন কর্মীদেরও প্রয়োজন থাকবে না ।
আসলে দেখতে গেলে এই প্রক্রিয়া গ্রাহক ও বণ্টন কোম্পানির মধ্যে চালু চুক্তির বিরোধী। বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময় এগ্রিমেন্ট বা চুক্তিতে উল্লেখ আছে যে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরেই গ্রাহক বিদ্যুতের দাম মেটাবে ।
এই চুক্তি অনুযায়ী আগাম টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে বাধ্য করা যায় না। গ্রাহক রাজি না হলে কেউ জোর করে মিটার বদলাতে পারবে না।
রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি
উল্টোদিকে, আমাদের রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কিন্তু ভয়াবহ। গত ১২ বছরে রাজ্যে তৈরি হয়নি একটিও নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। রাজ্যের বর্তমান চালু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশের বেশি তৈরি হয়েছে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। রাজ্যের বর্তমান চাহিদার তুলনায় অনেক কম আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা, আর বাজার থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে দু’গুণ, তিনগুণ বেশি দামে। রাজ্যের সরকার কৌশল নিয়েছে লোডশেডিং করে ঘাটতি মেটানোর। ভয়ানক গরমে দুর্বিপাকে রয়েছে রাজ্যবাসী, আর হামলা চলছে বিদ্যুৎ কর্মীদের ওপর। সারা রাজ্যজুড়েই রয়েছে এর প্রচুর উদাহরণ। আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হলেই জনগণের জুটছে পুলিশের আক্রমণ আর হাজতবাস।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি মেটাতে কোনও নজর নেই, এদিকে ভয়াবহ স্মার্ট মিটার স্কিমকে চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে শুধুমাত্র স্মার্ট মিটারিংয়ের জন্যই ১২,৬২৩ কোটি টাকার বোঝা বাংলার জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে। এই রাজ্যের বিদ্যুতের মাশুল দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশির দিকে। কলকাতায় তো আরও অনেক বেশি। প্রিপেইড মিটারে কম অথবা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা ধনী গরিব সব গ্রাহকের ওপরেই লাগানো হয়েছে একই মাশুলের বোঝা। স্বাভাবিকভাবেই মারা পড়বে গরিব খেটে খাওয়া সাধারণ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষ।
আর এসব কথা এই মিটার সম্পর্কে পাওয়া তথ্য ও অভিজ্ঞতার নির্যাসের নিরিখেই উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু আগামী দিনে বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে । একদিকে বেসরকারি কোম্পানি অন্যদিকে বাজারের পরিবর্তনশীল হারে বিদ্যুতের বোঝা, সাধারণ গ্রাহক পড়বেন দু’মুখো আক্রমণের সামনে ।
তবে মজার ব্যাপার হলো চুক্তি অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে এই মিটার লাগানোর প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে হতো ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে। টেন্ডারও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলার জনগণের আন্দোলনের চাপে রাজ্যের সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কাজ করতে ভয় পেয়েছে। তাই ভোটের ফলাফল বেরনোর পরই কেন্দ্রের সরকারকে খুশি করতে স্মার্ট মিটার বসানোর নির্দেশ জারি হয়ে গেছে ।
রুখে দিন স্মার্ট মিটার
কাজেই উপায় একটাই, আসুন, আমরা এক জোট হয়ে রাস্তায় নামি নিজের বিদ্যুতের অধিকার রক্ষা করতে; প্রতিবাদ করি বহু কষ্টে গড়ে তোলা স্বাধীন ভারতের সরকারি বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে আদানি, টাটার হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে; প্রতিরোধ করি, আমাদের ঘরে, আমাদের এলাকায়, আমাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমাদেরই টাকায় জবরদস্তি প্রিপেড স্মার্ট মিটার বসানোর বিরুদ্ধে। সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রতিরোধ– রাজ্য-কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী চক্রান্তের বিরূদ্ধে।
high:
এতে সারা দিন রাতের বিদ্যুতের দামকে তিন পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে । সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা, সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ১১টা এবং রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। সন্ধ্যার সময় বিদ্যুতের চাহিদা ও দাম দিনের বেলার চেয়ে অনেকটা বেশি হবে। দাম এতটাই বাড়তে পারে যে আপনাকে সন্ধ্যাবেলা আলো পাখা বন্ধ করে অন্ধকারে থাকতে হবে ।
Comments :0