CPIM POLIT BUREAU

হোলিতে শান্তি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে কেন্দ্রকে, দাবি পলিট ব্যুরোর

জাতীয়

কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে শান্তির সঙ্গে হোলি পালনের আবেদন জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি নেতাদের ধারাবাহিক উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে এই আবেদন জানানো হয়েছে। হোলিতে শান্তি নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের সরকারের কাছে।
আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে পলিট ব্যুরো। সংসদে কোনও রাজ্যেরই আসনের ভাগ যাতে না কমে তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। আমেরিকার শুল্ক হুমকি পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শিল্পের স্বার্থরক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। 
বুধবার নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে পলিট ব্যুরোর দু’দিনের বৈঠক। আলোচনা হয়েছে ২৪ তম পার্টি কংগ্রেসের সাংগঠনিক প্রতিবেদনের খসড়া নিয়েও। আগামী ২২-২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে খসড়া পেশ করা হবে চূড়ান্ত করার জন্য। 
বুধবার পলিট ব্যুরো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক সহ বিজেপির বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রীদের উসকানিমূলক মন্তব্য নিন্দাজনক। এবারের হোলি উৎসব শুক্রবার রমজানের মধ্যে নমাজের দিনে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও মুসলিম সম্প্রদায়কে হুমকি ও কটাক্ষ করেছেন, যা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পরিবর্তে বিভাজন সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই করা হয়েছে।
পলিট ব্যুরোর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে হোলি উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়। সেই সঙ্গে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে প্ররোচনা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে পলিট ব্যুরো।
আসন পুনর্বিন্যাস বিষয়ে পলিট ব্যোরো বলেছে, ২০২৬ সালের পরবর্তী জনগণনা শেষে সংসদ ও বিধানসভায় আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কেবল এবারের জনগণনার ভিত্তিতে তা করা হলে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির আসন সংসদে কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পলিট ব্যুরো বলেছে, সেক্ষেত্রে সংসদে এই রাজ্যগুলির রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে। যা রাজনৈতিক এবং গণতন্ত্রের নিরিখে অবিচারমূলক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী হবে।
পলিট ব্যুরো বলেছে, এই বিষয়ে এমন একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো উচিত, যাতে কোনো রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব কমে না যায় এবং গণতান্ত্রিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
পলিট ব্যুরো বলেছে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি ঘোষণা করেছে যে ২ এপ্রিল থেকে এই অতিরিক্ত শুল্ক আদায় চালু করবে আমেরিকা। মোদী সরকার এই বিষয়ে নীরব রয়েছে এবং দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে ট্রাম্পকে খুশি করার নীতি অনুসরণ করছে।
পলিট ব্যুরো বলেছে, ভারত সরকারকে দেশের শিল্পের স্বার্থে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতেও পালটা শুল্ক বসাতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment