School Teacher Beaten

ছাত্রকে শাসন করার অপরাধে শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ

রাজ্য

School Teacher Beaten


ছাত্রকে শাসন করায় শিক্ষককে স্কুলে এসে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠলো ছাত্রের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুরের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠে। শিক্ষককে মারধরের ঘটনা সোমবার বিকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনায় আক্রান্ত শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ৪ জনের নামে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। শ্যামপুর থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত সেখ মকবুল আলি ও সেখ বিলাল নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। ধৃতদের মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দু’জন গ্রেপ্তার হলেও বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক।


জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময় দশম শ্রেণির ইংরাজী ক্লাস নিতে আসেন শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। ক্লাস চলাকালীন এক ছাত্র অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ডিস্টার্ব করছিল। ঘটনাটি শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের নজরে আসলে তিনি ওই ছাত্রকে ওঠবোস করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু শিক্ষকের কোন কথায় কানে নেয়নি ওই ছাত্র। এমনকি শিক্ষকের নির্দেশকে ওই ছাত্র উপেক্ষা করতে থাকে। তখন ওই ছাত্রের কান মলে দেয় ইংরাজী শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। তখনের মতো ঘটনাটি মিটে যায়। এরপর ওই ছাত্র আরো একটি ক্লাস করে। এরপর স্কুলে টিফিনের ঘন্টা পড়ে। টিফিনের সময় ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে অভিভাবকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। অভিযোগ, এরপরেই ওই ছাত্রের অভিভাবক দলবল নিয়ে এসে স্কুলে এসে চড়াও হয়। ওই ছাত্র প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে চিনিয়ে দেয়। অভিযোগ শিক্ষককের কোন কথা না শুনে বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয় অভিবাবকরা। অন্য শিক্ষকরা বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রের অভিভাবক ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুক্ষন মারধর ও বচসা চলার পর অভিযুক্ত অভিবাবকরা স্কুল থেকে চলে যায়। রাতে আক্রান্ত শিক্ষক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। 

Comments :0

Login to leave a comment