Purba Bardhaman

সেপটিক ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসে দুই শ্রমিক সহ মৃত ৩

রাজ্য

Purba Bardhaman

পার্থপ্রতিম কোঙার  


মাধবডিহি থানার বড়বৈনান গ্রামে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের শাটারিং খুলতে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন রাজমিস্ত্রির সহকারী। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামের আরও চারজন সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে আলমপুরে রায়না–২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জয়দেব মাল(৩৬), সুন্দরম মালিক(২১) ও আকাশ সাঁতরা(১৭)। জয়দেববাবুর বাড়ি বাঁকুড়ার ফতেপুর গ্রামে। বাকি দু’জনের বাড়ি বড়বৈনান গ্রামেই। 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বড়বৈনান গ্রামের জয়ন্ত মালিকের বাড়িতে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের শাটারিং খুলতে এসেছিলেন জয়দেব মাল। সেপটিক ট্যাঙ্কে নামার প্রায় ৪০ মিনিট পরেও তাঁর কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না দেখে জয়ন্তবাবুর ছেলে আমেদবাদ থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে আসা সুন্দরম সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর নামেন। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ ধরে উঠে আসছে না দেখে পড়শি আকাশ সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন। ততক্ষণে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে যান। তিনজনকেই সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জগন্নাথ মালিক ও অরূপ মালিকরা সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নামতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। জয়ন্তবাবুর দাবি, শাটারিং খোলার সময় হয়নি। রাজমিস্ত্রিও আসেননি। তার বদলে রাজমিস্ত্রির সহকারী এসেছিলেন। আমি বাইরে ছিলাম। ফোনে মর্মান্তিক ঘটনার কথা শুনে বিশ্বাস করিনি। বাড়ি ফিরে এসে দেখি এই ঘটনা ঘটে গেছে।


এসডিপিও(বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, সম্ভবত বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবেই সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিশদে জানা যাবে। মাধবডিহি থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর দু'টি চেম্বার। সেন্টারিং করার পরে গর্তের মুখ দু’টিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার জন্য সেপটিক ট্যাঙ্ক বিষাক্ত গ্যাসে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। গ্যাস বের না করেই সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর নামার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটল। নিহতদের মধ্যে মধ্যে নির্মীয়মাণ বাড়ির মালিকের ছেলেও রয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment