দীপশুভ্র সান্যাল
‘এক দেশ এক আশা এক বেতন।’ ৩০ অক্টোবর দিল্লিতে এই দাবিতেই সমাবেশ করবেন দেশের আশা কর্মীরা। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেন তাঁরাই। আশাকর্মীরা দেশজুড়ে দাবি তুলছেন, স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে। মাসে ন্যূনতম ২৬ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।
দিল্লির সমাবেশে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গের আশাকর্মীরাও রওনা হচ্ছেন। শনিবার জলপাইগুড়ির আশাকর্মীরা দিল্লির ট্রেনে উঠলেন।
৩০ অক্টোবর দিল্লির সংঘর্ষ মিছিলের দাবি, উৎসাহ ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। সব বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। কঠিন অবস্থায় রয়েছেন অনরসরপ্রাপ্ত আশাকর্মীরা। তাঁদের ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মাসিক পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
জলপাইগুড়ি থেকে এদিন ৭০ জন আশা কর্মী রওনা হলেন। পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়নের জেলা সম্পাদিকা চুমকি দাস বলেছেন, ‘‘আশা কর্মীরা জীবন বাজি রেখে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছেন কোভিড মহামারীর সময়ে। ভারতকে ‘গ্লোবাল হেলথ কুইন’ সম্মান দেওয়া হয়। অথচ স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছেন না তাঁরা।’’
আশাকর্মীদের অভিযোগ, কোভিডের সময় তাঁদের নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়অ হয়েছিল। কিন্তু সরকারি প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। দেশের সব জেলা স্তরে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সুরাহা হয়নি। তাই যাচ্ছেন দিল্লি। যাচ্ছেন প্রতিবাদ জানাতে।
দাস বলেন, ‘‘দেশের একাধিক রাজ্যের আশা কর্মীদের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপ। সারা দেশে একই স্তরে সাম্মানিক ও সুযোগ-সুবিধা চালু করতে হবে।’’
ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত
Comments :0