সংবিধান, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্যই ত্রিপুরায় বিজেপি’কে হটানো দরকার।
রবিবার কলকাতায় মুজফ্ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই(এম)’র অবস্থান জানিয়ে এ কথা বলেছেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কলকাতায় চলছে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘আসন সমঝোতা আরও দৃঢ় হবে ত্রিপুরায়। আগামী কয়েকদিনে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘সারা দেশেই গণতন্ত্রের ওপর সব দিক থেকে মারাত্মক হামলা হচ্ছে বিজেপি’র শাসনে। নাগরিক অধিকার, সংবিধান, গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর চলছে হামলা। কেন্দ্রীয় কমিটি সে কারণেই মনে করছে কেন্দ্রের সরকার থেকে বিজেপি’কে হটানো জরুরি। সব গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে আহ্বান জানাতে চাইছে সংবিধান, মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা নেওয়ার জন্য।’’
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় ইয়েচুরিকে। এই ভোট আদৌ কবে হবে তা নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন তিনি। অবাধ ভোটের পক্ষে তৃণমূলের কোনও কোনও নেতা ভাষণ দিচ্ছেন। সেলিম মনে করিয়েছেন গতবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসকে। তিনি বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরাতেও বিজেপি যা করে এখানে তৃণমূল সেভাবেই এমনকি মনোনয় পর্যন্ত জমা দিতে দেয়নি। সংগঠিত হামলা করেছে পুলিশ এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী একত্রে।’’
৩০ জানুয়ারি ত্রিপুরায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২ ফেব্রুয়ারি নাম প্রত্যাহারের দিন। সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরা ৬০ আসনের মধ্যে ৪৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। তার আগে অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি আসনে বিজেপি’র বিরোধী শক্তির পক্ষে একজনের বেশি প্রার্থী রয়েছে।
ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘আশা করছি কংগ্রেস এবং অন্য দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আমরা তিপরা মোথার মতো অন্য দলগুলিকেও আবেদন জানিয়েছি।’’
রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে সিপিআই(এম)’র মূল্যায়ন জানান ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা না করা গেলে ত্রিপুরায় অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়। রাজ্যে বিজেপি সরকার আইনের শাসন মানে না। ত্রাসের শাসন চালাচ্ছে রাজ্যে। সংবিধান এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল দলগুলির এক জায়গায় আসা দরকার বিজেপি’কে হটাতে। স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে সিপিআই(এম)। রাজ্যে প্রথমবার গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে নির্বাচনে আসন সমঝোতা করতে চাইছে।’’
দেশের প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেছেন, সারা দেশে সর্বত্র সাংবিধানিক স্তম্ভগুলির ওপর আক্রমণ চলছে। বিজেপি যে রাজ্যের সরকারে নেই সেখানেই রাজ্যপালদের দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা হচ্ছে।
Comments :0