বইকথা
নতুনপাতা
ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রাচীন বিদ্যালয়ের কথা ও কাহিনি
প্রদোষকুমার বাগচী
২৭ অক্টোবর ২০২৫, বর্ষ ৩
বাংলার বিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। পরাধীন অবস্থা থেকে স্বাধীনতার নানা পর্যায়ে এমনকি স্বাধীনতার পরেও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বিকশিত সেই বিদ্যালয়গুলির প্রত্যেকেরই রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। বঙ্গীয় চিন্তাচেতনা বিকাশের সঙ্গেও তার গভীর সংযোগ। এই সব বিদ্যালয় এবং তার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী কিভাবে ক্রমাগত উসকে রেখেছিলেন প্রদীপের আলো, তার আবেগময়, যুক্তিগ্রাহ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ সংকলন এই সংখ্যাটি। আজ যখন স্বাধীন ভারতে নতুন করে বাংলা ভাষাকে টিকে থাকার লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করে রাখতে হচ্ছে তখন বাংলার বিদ্যালয়গুলির কথা ও কাহিনি তুলে ধরার কাজটি অত্যন্ত জরুরি ছিল। সে কাজ করে দেখালো কোরক পত্রিকা। এতে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়ের কথা, জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং নানা জনের বিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি। তৎসহ রয়েছে বিদ্যালয়ের পাঠদান ও শিক্ষকতা প্রসঙ্গে নির্বাচিত ছোট গল্প। বাংলার বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে এই সংখ্যাটি আগ্রহীদের পছন্দের তালিকায় থাকবে বলেই বোধ করি।
একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যাঁরা এই সংখ্যাটি হাতে নেবেন তাঁরা প্রায় সকলেই তাঁদের শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়গুলির কথা পুনরায় দেখবার ও স্মৃতিচারণ করবার সুযোগ পাবেন। ইতিহাসের ছাত্রদের কাছেও যথেষ্ট আকর্ষণীয় হবে বইটি।
কোরক সাহিত্য পত্রিকা
শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়। শারদ (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) সংখ্যা ২০২৩। সম্পাদনা : তাপস ভৌমিক। ই এ ১/৮ দেশবন্ধুনগর, বাগুইহাটি, কলকাতা—৭০০ ০৫৯। ২৫০ টাকা।
Comments :0