প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়
নারায়ণ দেবনাথের নন্টে ফন্টেকে নিয়ে ছবি আসছে। নারায়ণ দেবনাথের এই কমিকস একাধিক প্রজন্মের সোনালি ছেলেবেলাকে ধরে রেখেছে। সেই সোনালি ছেলেবেলাকেই আরেকবার সেলুলয়েডে ফিরিয়ে আনছেন পরিচালক। শুধু নন্টে ফন্টেই নয়। বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, পিসেমশাই, কেল্টু। এদের নির্মল মজা আমাদের জীবন ও মনকে বারে বারেই আনন্দে ভাসিয়েছে। সেই মন ছোঁয়া দুটি চরিত্রকে নিয়েই ছবি বানিয়েছেন পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ১৯ মে।
নারায়ণ দেবনাথ আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তাঁর অমর সৃষ্টি রয়ে গেছে, থাকবেও। বাংলায় এমন নির্মল ও স্বচ্ছ হাস্যরসের কমিকস দ্বিতীয়বার আর হবে না। তাঁর সৃষ্ট নন্টে ফন্টেকে ছবিতে ধরাও চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু পরিচালক চরম মুন্সিয়ানায় তা তুলে ধরেছেন ছবিতে।
পরিচালকের কথায়, ‘‘কমিকস ছোট বড় সবাই পছন্দ করেন। অন্যান্য কমিকসগুলো আমার পছন্দ। কিন্তু এই কমিকসগুলোয় অদ্ভুৎ এক সারল্য আছে। যা আমাদের টানে। আমাদের ছেলেবেলাকে ভীষণ টেনেছিল এই কমিকসগুলো। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছিল ভালোলাগা, ভালোবাসা। বলতে গেলে শৈশবের সারল্যে মাখামাখি এই সব কমিকসগুলো। আমি ছবি করার সময় এগুলো মাথায় রেখেছি। মেকিংয়েও কোনও রকম পাকামি নেই এই চরিটায়। এক আনন্দঘন সারল্য উপহার দিতে চেয়েছি। সিম্পল গল্পে সেই সিম্পিলিটি বজায় রাখতেই চেয়েছি। সেটা মানুষ দেখলেই বুঝতে পারবেন।’’
এই ছবিটার ব্যাপারে আরেকটি বড় দিক হলো, এই ছবি প্রযোজনা করছে জালান ইন্টারনাশান্যাল ফিল্ম প্রাইভেট লিমিটেড। এই প্রযোজক অনেক ভালো ভালো ছবি করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, এরকম একটা ছবিতে হাত দেওয়া একজন অবাঙালি প্রযোজক হয়ে এবং এর ব্যাপারটা বুঝে ছবি প্রযোজনা করা সত্যিই প্রসংশনীয়।
অনুপম রায় এই ছবির সঙ্গীত করেছেন, তিনি নিজেও কমিকসের ভক্ত। তিনি গান লিখেছেন, গেয়েছেনও। সেটা খুবই একটা ভালো ব্যাপার। চিত্রনাট্য করেছেন অম্লান মজুমদার। এই গল্পের চিত্রনাট্য করাও ছিল বেশ কঠিন কাজ। কারণ ছোট্ট গল্প। ধরতে গেলে কনটেন্ট খুবই কম। সেই নিয়ে দু’ঘন্টার একটা ছবি করা দুরূহ কাজ ছিল। বিভিন্ন গল্পগুলোকে কানেক্ট করে করে এর চিত্রনাট্য করা হয়েছে।
সোহম বাসুরায় চৌধুরি করছেন নন্টে আর ফন্টের চরিত্রে শোভম রায়। আছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চনা মৈত্র, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, লামা এছাড়া শুভাশিস মুখার্জি করছেন ‘গুলে’ নামে একটি চরিত্র। খুবই আকর্ষণীয় চরিত্র গুলি।
Comments :0