তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলের সঙ্গেই বামপন্থী রাজনীতির মৌলিক ফারাক রয়েছে। মহাজোটের প্রচারকরা এই রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝতে পারছেন না। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর প্রচার প্রসঙ্গে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে। বামপন্থীরা গরিব মানুষের ঐক্যের পক্ষে রাজনৈতিক সংগ্রাম চালায়।’’
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যে প্রচারে নামিয়েছে বিজেপি। আপাতত রাঢ়বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন তিনি। মহাজোটের প্রচারে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে সিপিআই(এম)-কে হটাতে সবাই একজোট হয়েছিল। তৃণমূলকে যেমন কংগ্রেস সমর্থন দিয়েছিল, তেমনই বিজেপি-ও সমর্থন দিয়েছিল। এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। বিজেপি’র পালে হাওয়া দিতে তিনি যদিও এমন মন্তব্য বিভিন্ন সময়েই করছেন।
লাহিড়ীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তী বড় অভিনেতা। কিন্তু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান নেই। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। তারপর গিয়েছেন বিজেপি’তে। ওঁর কাছে রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনার বিষয় নয়। তাই রাজনৈতিক মতাদর্শের ফারাক করতে পারছেন না তিনি।’’ সেই সঙ্গেই লাহিড়ীর বলেন, ‘‘শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যের রাজনীতি আর বিভাজনের রাজনীতির ফারাক না বুঝে এমন মন্তব্য করা ঠিক নয়। বামপন্থীরা শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য গড়ার কাজ করে। তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলই বিভাজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’’
লাহিড়ী মনে করিয়েছেন যে রাজনীতিতে নেমে বড় বিপাকে পড়েছিলেন এই অভিনেতা। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। দলবদলে বিজেপি’তে চলে যান। লাহিড়ী বলেন, ‘‘সকলেই চাইবেন অভিনয় জগতে তিনি ব্যস্ত থাকুন। সারা দেশের মানুষ তাঁকে অভিনেতা বলেই চেনেন। রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য না করাই ভাল।’’
Comments :0