মিছিল, জনসভার ডাক দিয়েছিল সিপিআই(এম)। গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে। শুক্রবার সেই মিছিলেই হামলা চালালো তৃণমূল কংগ্রেস। তবু বন্ধ হয়নি মিছিল বা জনসভা। বারাসতের কলুপাড়ায় হামলায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জনসভা করেছে সিপিআই(এম)।
হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করতে চলল হামলা। লাল সেলাম পার্টিকর্মী এবং স্থানীয় মানুষকে। কেউ পালিয়ে যাননি। উলটে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। তারপর কর্মসূচিও হয়েছে।’’
এদিন বারাসত ২ নম্বর ব্লকের কলুপাড়ায় এই কর্মসূচিতে যোগও দেন চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য পলাশ দাসও অংশ নিয়েছেন রুখে দাঁড়ানো এই কর্মসূচিতে।
এদিন মিছিল, জনসভা বানচাল করতে পরিকল্পনা ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূল। ভেঙে দেওয়া হয় মঞ্চ। মাইকও ভাঙা হয়। আশেপাশে মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। কোদালের বাঁট দিয়ে মারা হয় সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের। চার-পাঁচজনকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে।
সাময়িক ভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও এরপরই রুখে দাঁড়ান পার্টিকর্মীরা। রাস্তা আটকে বসে পড়েন তাঁরা। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘তৃণমূল পরিকল্পনা করেছিল যেন হামলা করেই এই সভা ভেঙে দেওয়া যাবে। ভাবতেও পারেনি মানুষ রুখে দাঁড়াবেন। কেবল রোখাই নয়, ঘুরে দাঁড়িয়ে সমাবেশও করেছেন।’’
এই এলাকায় টানা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার আক্রান্ত হয়েছেন পার্টিকর্মীরা। প্রতিরোধও হয়েছে। কিছুদিন আগেই এই এলাকায় সিপিআই(এম) মিছিল করে। নেতৃত্ব দেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তৃণমূল হুমকি দিয়ে এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে রাখতে বাধ্য করে। এদিন সেই গা জোয়ারির প্রতিবাদে ছিল কর্মসূচি।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের নীতি হচ্ছে ওরা থাকবে আর বিজেপি থাকবে। অন্য কাউকে কিছু করতে দেবে না। বামপন্থী হলে তো গোড়াতেই হামলা করবে। আইএসএস’র মতো রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচিতেও বাধা দেবে। তবে মানুষ জাগছেন, রুখে দাঁড়াচ্ছেন। এদিনের ঘটনা তার প্রমাণ।’’
Comments :0