নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী ধারাবাহিক অরাজকতা। তার প্রতিবাদ জানানোয় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হামলার শিকারও হতে হয়েছে নাগরিকদের। বুধবার বিকেলে বাঁশদ্রোণীর নিরঞ্জন পল্লীতে বিক্ষোভ মিছিলে জানানো হয়েছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ।
এদিন সকালে কলকাতার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে, বাঁশদ্রোণীর দীনেশনগরে পড়তে এসেছিল ওই ছাত্র। শিক্ষকের বাড়ির সামনে আচমকা তাকে পিষে দেয় জেসিবি। রাস্তা সারাইয়ের কাজের জন্য ওই জেসিবি ছিল এলাকায়। অভিযোগ, বুধবার জেসিবি’র কোনও কাজ ছিল না। আগের দিন রাতে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারাই সকালে বেপরোয়া চালায় জেসিবি। যার জেরে পিষ্ট হয়েছে ওই ছাত্র।
এদিন বাঙুর হাসপাতালে ছাত্রের ময়না তদন্তের পর দেহ আসে গীতানগর এলাকায় তার বাড়িতে শোকে বিহ্বল স্থানীয়রা। ঘটনার পর দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এলাকার সিপিআই(এম) নেতা শুভঙ্কর গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ জনতাকে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। আহত হয়েছেন দুই যুবনেতা অরিজিৎ দত্ত এবং দ্বৈপায়ন চক্রবর্তী।
এদিন সকাল থেকে ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে এবং হাসপাতালে ছিলেন শুভঙ্কর গাঙ্গুলি, কুনাল দে সহ সিপিআই(এম) নেতৃত্ব। ছাত্রের বাড়িতে যান সিপিআই(এম) জেলা কমিটির সদস্য মোনালিসা সিন্হা।
শুভঙ্কর গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘‘এই ওয়ার্ডে ত্রিশ বছর ধরে কাউন্সিলর তৃণমূলের। তবু রাস্তার বেহাল দশা। অরাজকতা এতটাই যে মদ্যপ একটি অংশ জেসিবি মেশিন চালাচ্ছে, তা ঠেকানোর ব্যবস্থা নেই। নাগরিক পরিষেবা পাওয়ার জন্য তৃণমূলকে, কাউন্সিলরের বাহিনীকে কাটমানি দিতে হয় কেন? এই অব্যব্যবস্থা, অরাজকতাই কেড়ে নিয়েছে তাজা কিশোরের প্রাণ। প্রশাসনকেই জবাবদিহি করতে হবে।’’
ক্ষোভে ফুটতে থাকা এলাকায় টালিগঞ্জের বিধায়ক এবং কাউন্সিলরকে আসার দাবিতে বিক্ষোভে নামেন মানুষ। তাঁদের ওপরই চলে হামলা। সন্ধ্যায় সিপিআই(এম)’র ডাকে মিছিলে নিরঞ্জন পল্লী, দীনেশনগর এলাকায় সেই হামলাবাজিরও প্রতিবাদ জানানো হয় সোচ্চারে।
BANSDRONI STUDENT DEATH PROTEST
দায়ী অরাজকতা, ছাত্রের মৃত্যুতে বিক্ষোভ মিছিল বাঁশদ্রোণীতে
×
Comments :0