ভেনেজুয়েলাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে চীন এবং কিউবা।
ভেনেজুয়েলায় বামপন্থী সরকারকে কোণঠাসা করার প্রয়াস আমেরিকা যদিও বারবারই চালিয়েছে। অভিবাসী ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর অমানবিক প্রক্রিয়ায় কড়া প্রতিবাদও দেখা গিয়েছে। এবার আমেরিকা তাদের সংস্থা শেভরনকে ভেনেজুয়েলায় দ্রুত ব্যবসা গোটানোরও নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
পশ্চিমী সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিকায় ভেনেজুয়েলার সঙ্গে অন্য কোনো দেশ লেনদেন করলেও শাস্তির মুখে পড়বে। ভেনেজুয়েলার থেকে কোনো দেশ গ্যাস বা খনিজ তেল কিনলে আমেরিকার সে দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তেল উত্তোলক সংস্থা শেভরনকে গত ৪ মার্চ, ৩০ দিনের ডেডলাইন দেওয়া হয়। এই সংস্থা যদিও মে পর্যন্ত সময় চেয়েছে।
চীনের বিদেশ মন্ত্রক এই নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা করেছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন জানিয়েছে, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।"
কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল বলেছেন, ‘‘সাম্রাজ্যবাদ গলা টিপে মারতে চাইছে ভেনেজুয়েলাকে। কিউবা ঐতিহ্য বজায় রেখে এই আগ্রাসনের প্রতিবাদ করবে।’’
উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে ভারতের।
venezuela
ভেনেজুয়েলার তেল কিনলে বাড়তি শুল্ক চাপাবে আমেরিকা, প্রতিবাদ চীন-কিউবার

×
Comments :0