ধমক-চমক দিয়ে রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলনকে ভাঙা যায়নি। সমাবেশই তার প্রমাণ দিচ্ছে। জেলা স্তরে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতৃবৃন্দ। সোমবার জলপাইগুড়িতে সংগঠনের বিংশতিতম সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন সিআইটিইউ’র সর্বভারতীয় সভাপতি কে হেমলতা।
হেমলতা বলেছেন, শ্রম কোডের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার কেড়ে নিতে নেমেছে দেশ এবং বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। পালটা সংগ্রাম শক্তিশালী আছে বলেই আইন পাশ হলেও তা প্রয়োগ করা যায়নি। কৃষক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে তাঁর আহ্বান, শ্রম কোড প্রত্যাহার করাতেও শ্রমিক কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি মানস দাস, বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী। দত্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে ভাঙার চেষ্টা বারবার চালিয়েছে। এই জলপাইগুড়ির তৃণমূল সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন কো অর্ডিনেশন কমিটির কাউকে জেলার কোনও দপ্তরে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আজকের সমাবেশ প্রমাণ করছে কর্মচারী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায়নি। শাসকের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে যেভাবে গত আট মাস জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন কর্মসূচি করে সম্মেলনকে সফল করেছেন জেলার কর্মচারী বন্ধুরা।
তিনি বলেন, যাঁরা সংগঠন করছেন, জানেন যে যে কোনদিন সরকারের রোষের মুখে পড়তে হবে। হুমকি ধমকি চমকানি দিয়ে সংগঠন ভাঙা যায় না, আজকের সমাবেশ তা আরেকবার প্রমাণ করলো। রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির মুখপত্র সংগ্রামী হাতিয়ারের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেন হেমলতা।
সম্মেলন থেকে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন লিটন পান্ডে। ১০৩ জনের রাজ্য কমিটি ও ২৮ জনের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী নির্বাচিত হয়েছে।
প্রগতিশীল পুস্তক বিপনি কেন্দ্র থেকে এক লক্ষ আশি হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
Comments :0