INDIA bloc against BJP

দিল্লিতে ইন্ডিয়া ব্লকের সুবিশাল সমাবেশ

জাতীয়

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া ব্লকের শীর্ষ নেতারা রবিবার দিল্লিতে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' সমাবেশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনও এই মিছিলে অংশ নেন। আবগারি নীতি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় গত ২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
দিল্লির রামলীলা ময়দানে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' র‌্যালিতে কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, এনসিপি (এসসিপি) প্রধান শরদ পাওয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনও এই মিছিলে অংশ নেন।
সমাবেশে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা বলেন, ‘আপনাদের নিজের কেজরিওয়াল জেল থেকে আপনার জন্য একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। এই বার্তাটি পড়ার আগে, আমি আপনাদের কিছু জিজ্ঞাসা করতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার স্বামীকে জেলে ঢুকিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কি ঠিক কাজ করেছেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে কেজরিওয়ালজি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং সৎ ব্যক্তি? আপনাদের কেজরিওয়াল সিংহ’।


ইন্ডিয়া ব্লকের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তেজস্বী যাদব বলেন, ‘‘দিল্লির ভিড় ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মোদীজি ঝড়ের মতো চলে যাবেন, ঠিক যেমন তিনি ঝড়ের মতো ক্ষমতায় এসেছিলেন। প্রথম জনসভাটি আমরা করেছি পাটনায়, দ্বিতীয়টি মুম্বাইয়ে এবং তৃতীয় জনসভাটি এখানে দিল্লিতে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি, মানুষের সমর্থন ও আশীর্বাদ পাচ্ছি’’।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সমাবেশে বলেন, ‘‘আমি কেজরিওয়ালজি এবং সোরেনজির নাম নিতে চাই তবে তারা মানসিকভাবে আমাদের সাথে রয়েছেন। আইপিএল ম্যাচ আজকাল চলছে আপনারা কি ম্যাচ ফিক্সিং শব্দটি শুনেছেন? আম্পায়ারকে চাপ দেওয়া হলে, খেলোয়াড় কেনা হয়, অধিনায়কদের ম্যাচ জেতার জন্য হুমকি দেওয়া হয়’’।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা সমাবেশে বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের মতো গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত নেতারা মুক্ত হবেন যখন আপনারা সবাই সংবিধান ধরে রাখবেন’’।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, ‘‘এরা ‘৪০০ পার’ স্লোগান দিচ্ছে। আপনি যদি ৪০০-র বেশি আসন পেতে চলেছেন, তবে আপ নেতাকে ভয় পাচ্ছেন কেন? আপনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে পাঠিয়েছেন, শুধু ভারতীয়রা নয়, গোটা বিশ্ব এর সমালোচনা করছে। বিজেপি নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে, কিন্তু তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিথ্যাবাদী দল।ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি ইডি, সিবিআই এবং আইটি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে তারা ৪০০ জিতবে না, বরং ৪০০ হারবে... বিজেপি ইডি এবং সিবিআইয়ের সাহায্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছে’’।

Comments :0

Login to leave a comment