কেন্দ্রের আর্থিক অবিচারের প্রতিবাদে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধী শাসিত রাজ্য কর্ণাটক, কেরালা। তামিলনাড়ু সরকারও সমর্থন জানিয়েছে বিক্ষোভে।
বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে পুরো কর্ণাটক মন্ত্রিসভা, রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক এবং এমএলসি’রা দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ করবেন। তাঁদের পরেই যাবেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাঁরা ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখাবেন। তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন ডিএমকে জানিয়েছে যে তারা বিক্ষোভে যোগ দেবে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে আর্থিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যগুলির ঋণের জায়গা সীমাবদ্ধ করার অভিযোগ করে স্ট্যালিন বলেন, সংবিধানের ২৯৩ অনুচ্ছেদের অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। সংবিধানের এই ধারায় রাজ্যগুলির ঋণ নেওয়ার ক্ষমতার ওপর সম্মতি দেওয়া বা না দেওয়ার সংস্থান কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যে প্রাপ্য বকেয়া রাখছে। জিএসটি’তে লোকসান বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য মেটানো হয়নি পুরোপুরি। বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গেই এই বৈষম্যমূলক আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
স্ট্যালিনও আশ্বাস দিন যে ডিএমকে এই বিক্ষোভে অংশ নেবে। রাজ্যগুলি করের মধ্যে তাদের ন্যায্য অংশ দাবি করছে।
কেন্দ্রের আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সরকারের ‘চলো দিল্লি’ প্রতিবাদ এই প্রথম। সিদ্দারামাইয়া উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘৭ ফেব্রুয়ারি সমস্ত মন্ত্রী, আইনসভার উভয় কক্ষের বিধায়ক এবং সাংসদরা কর্ণাটকের প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অবিচার এবং কেন্দ্রের অনুদান সহ রাজ্যের অন্যান্য ইস্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন’’।
কেরালা সরকার জানিয়েছে, কেরালার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বৈষম্যকে তুলে ধরতেই বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ। এলডিএফ প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এই বিক্ষোভের জন্য সংহতি জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এবং তারা শরদ পাওয়ার (এনসিপি), আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং অন্যান্যদের ধর্নায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
Comments :0