প্রতি কুইন্টালে ৭১২ টাকা লোকসান কৃষকের, মুগে লোকসান ২২৭৪ টাকা। তুলোয় লোকসান প্রতি কুইন্টালে ২২২৪ টাকা, সয়াবিনে লোকসান ১৫৫৫ টাকা। কেন্দ্রের নতুন সহায়ক মূল্য পেলেও কৃকদের এমনই মাত্রা লোকসানের। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দাবিকে একেবারে অসত্য আখ্যা দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে সারা ভারত কৃষক সভা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর নতুন সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়। দাবি করা হয় যে কৃষকের প্রকৃত খরচের ৫০ শতাংশ জুড়ে সহায়ক মূল্য ঠিক হয়েছে। এই দাবে সরকার ১৪টি ফসল কৃষকের থেকে সংগ্রহ করবে। ধানের ক্ষেত্রে সহায়ক মূল্য এবারের খরিফে গতবারের তুলনায় মাত্র ৫.৩৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হারের তুলনাতেও কম।
কৃষকসভা বলেছে, ২০১৪’তে নরেন্দ্র মোদী সরকার স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সরকার প্রতিবার সহায়ক মূল্য ঘোষণা করছে কৃষকের খরচ কমিয়ে ধরে। কৃষি পণ্যের খরচ এবং দাম বিষয়ক কমিশন সিএসিপি’র হিসেবও বিবেচনায় রাখা হলে সহায়ক মূল্য বাড়াতে হতো। কেন্দ্রের এনডিএ সরকার তা না করেই মিথ্যা দাবি করছে।
১০ জুলাই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনের মতো একাধিক দাবিতে ফের রাস্তায় নামছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। সারা ভারত কিসানসভা বলেছে, খরচের হিসেবেও নানা কারচুপি রয়েছে। ধানের উৎপাদনে সব রাজ্যের খরচ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আন্দামান নিকোবর এবং কাশ্মীর, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের খরচ অত্যন্ত কম দেখানো হয়েছে। এই রাজ্যকে ধরে উৎপাদনের ভার প্রয়োগ করে গড় করলে কুইন্টালে খরচের হিসেব আসছে ২১৮৮ টাকা। সরকার কেবল এই দুই রাজ্যকে বাদ দিয়ে দিক। দেখা যাচ্ছে তা’হলে গড় দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৫৫৫ টাকা।
MSP FARMERS AIKS
সহায়ক মূল্যের হিসেবে কৃষকের সঙ্গে কারচুপি, দেখালো কৃষকসভা
×
Comments :0