MACRON ISRAEL

আটকে ফরাসী নাগরিকরা, ইজরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধের কথা ম্যাক্রোঁর মুখে

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

সারা বিশ্বের শান্তিকামী অসংখ্য মানুষই এই দাবিতে সরব। নিজের দেশের ভোটেও উঠেছিল একই দাবি। তখন চুপ করে থাকলেও রবিবার মুখ খুললেন ফরাসী রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। 
ফরাসী সংবাদমাধ্যমে ম্যাক্রোঁর মন্তব্য, ‘‘এবার সব দেশের উচিত  গাজায় অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করা।’’ সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘গাজায় ফ্রান্স অবশ্য কোনও অস্ত্র পাঠায়নি।’’  
রবিবারই নতুন দফায় লেবাননের বেইরুটে বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। আটকে রয়েছেন বহু দেশের নাগরিকরা। তার মধ্যে ফরাসীরাও রয়েছেন। যুদ্ধবিরতির দাবিতে সরব ফ্রান্সের বামপন্থী নেতা জাঁ লুক মেলেশঁ প্রশ্ন তুলেছেন ম্যাক্রোঁর নীতিতে। মেলেশঁ বলেছেন, ‘‘ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বেইরুটের বিমানবন্দরের কাছে বোমা ফেলেছেন। বিমান চলাচল আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ইজরায়েল। লেবাননে অন্তত ২৩ হাজার ফরাসী নাগরিক আটকে পড়েছেন। ফ্রান্সের ৭০০ সৈন্য রয়েছে। তাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা পর্যন্ত করেননি রাষ্ট্রপতি।’’
ফ্রান্সের নির্বাচনে মেলেশঁর নেতৃত্বাধীন জোট পপুলার ফ্রন্ট জয়ী হলেও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে দেননি মেলেশঁ। দীর্ঘ টালবাহানার পর বেছে নিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিশ্বস্ত মিশেল বার্নিয়েকে। কিন্তু মেলেশঁর রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে পারেননি। 
যুদ্ধবিরতির দাবি তুলে সব অংশকে ম্যাক্রোঁর সহযোগীরা ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়েছিল। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মেলেশঁ বলেছেন, ‘‘এবার কী ম্যাক্রোঁ নিজকে ইহুদিবিদ্বেষী বলবেন?’’ 
ম্যক্রোঁর দপ্তর শনিবারই বিবৃতি দিয়ে বলেছিল যে ফ্রান্স ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এদিন আবার ম্যাক্রোঁ সমালোচনার মুখে পড়ে লেবাননে ইজরায়েলের বিমানহানার সমালোচনা করেছেন। 
ইজরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সহায়তা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতির দাবিতে সরব বিভিন্ন অংশই বলেছে যে মার্কিন মদতেই হানাদারি চালিয়ে যেতে পারছে ইজরায়েল। কূটনৈতিক বিশষজ্ঞদের একাংশ বলছেন আমেরিকাকেও বার্তা দিয়ে রাখলেন ম্যাক্রোঁ। দেশের ভেতর বিরোধিতার কারণে ইজরায়েলকে অস্ত্র জোগানোর নীতির বিরোধিতা করতে হতে পারে তাঁকে।

Comments :0

Login to leave a comment