জয়ী প্রার্থী সিপিআই(এম) শেখ জব্বরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আগেই। একতরফা কায়দায় বোর্ড গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশ এবং তৃণমূলের আচরণকে অগণতান্ত্রিক এবং নির্লজ্জ আখ্যা দিয়ে রবিবার নন্দকুমারে হলো মিছিল। সিপিআই(এম)’র ডাকে মিছিলে নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকার বিপুল সংখ্যার মানুষ।
রবিবার বিক্ষোভের জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় নন্দকুমার দীঘা সড়কে। সোমবার নন্দকুমার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হবে। অংশ নেবেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
১১ আগস্ট নন্দকুমারের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ঠিক ছিল। প্রধান হওয়ার কথা ছিল আব্দুল জব্বরের। সেই সময়ই পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে। মুহূর্তে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সিপিআই(এম)'র সদস্যকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকেও চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
সেদিন সিপিআই(এম) ও সিপিআই(এম)'র সমর্থিত নির্দল জয়ী সদস্যরা শপথ গ্রহণ না করেই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ছেড়ে চলে আসেন। শুক্রবারই একতরফা তৃণমূলের বোর্ড গঠিত হয় ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে।
সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আমাদের বোর্ড গঠিত হবে এ কথা জানতে পেরেই এক প্রকার পুলিশ দিয়ে নির্বাচন পর্বে একটি মামলায় শেখ আব্দুল জব্বারকে গ্রেপ্তার করায় তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার ধিক্কার মিছিল হয় নন্দকুমারের পানিসিতি বাজার থেকে শীতলপুর বাজার বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত। নন্দকুমার দীঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। আধঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বিক্ষোভ। যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় নন্দকুমার দীঘা জাতীয় সড়কে
এই দিনের বিক্ষোভ মিছিল ও পথ অবরোধে নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, হিমাংশু দাস, মহাদেব মাইতি, পরিতোষ পট্টনায়েক সহ নেতৃবৃন্দ। পথ অবরোধ চলাকালীন পুলিশ জোর করে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক, বিশেষ করে, মহিলাদের নাছোড় মনোভাবে পিছু হটে পুলিশ। এর মধ্যেই তৃণমূলের শীতলপুর অঞ্চল কমিটির নেতা সেক সেলিম আলি সিপিআই(এম)’কে সক্রিয় সমর্থনের ঘোষণা করেন।
রবিবার বিক্ষোভ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনই সেক আব্দুল জব্বরকে মুক্তি দিতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস অনৈতিকভাবে বোর্ড গঠন করেছে। ব্লক প্রশাসনকে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে আবার নতুন করে বোর্ড গঠনের নোটিশ জারি করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
Comments :0