Com SITARAM YECHURY CONDOLENCE

সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় সব অংশকে যোগ দেওয়ার আহ্বান সেলিমের

রাজ্য

৩ অক্টোবর কমরেেড সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভার পোস্টার।

কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি মতাদর্শে অবিচল থেকে দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সে পথে চলতে হবে আমাদের। 
৩ অক্টোবর কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণ সভায় সব অংশকে সমবেত হওয়ার আহ্বানে এই বার্তা দিয়েছেন পার্টি রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভা সংগঠিত করা হবে ৩ অক্টোবর। সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে এই স্মরণ সভা হবে। তার আগে সেলিম ভিডিও বার্তায় বলেন, "তিনি অসময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সিপিআই(এম) পার্টি কংগ্রেসের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সম্মেলন পর্বের মধ্যে রয়েছে পার্টি।’’ ইয়েচুরি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি। পার্টির দলিল প্রণয়ন থেকে আদর্শগত ভিত্তি স্থির করা এবং তার উপর দাঁড়িয়ে আমাদের কৌশলগত অবস্থান ঠিক করে তাকে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিট ব্যুরোতে  রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন ইয়েচুরি। এই সময়, যখন ফ্যাসিবাদী শক্তির আস্ফালন চলছে, তখন বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা ও বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরেপেক্ষ শক্তিকে এক জায়গায় করার ভূমিকায় তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘পার্টিকে আন্দোলনমুখী করে তোলা। শ্রমিক, কৃষক খেতমজুর, ছাত্র-যুব-মহিলা, কর্মচারী, অধ্যাপক-শিক্ষক, বিজ্ঞান কর্মী, তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ বিভিন্ন নতুন পেশার সাথে যুক্ত সবার যখন স্বার্থ হানি হচ্ছে নয়া উদারনীতিতে। সেই সময় তাঁদেরকে নির্দিষ্ট শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে রূপরেখা তৈরি করা এবং মাঠে ময়দানে নেমে, সে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হোক বা রাস্তায় বা দেশের যে কোনও প্রান্তে, সে কাজ করেছেন।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘শুধু শ্রেণি আন্দোলনের প্রশ্নে নয়, জাত-পাত, ধর্ম বর্ণ ভাষার নাম করে মণিপুর থেকে কাশ্মীর মানুষকে ভাগ করা হচ্ছে। তখন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে সীতারাম ইয়োচুরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে যেমন পার্টির ক্ষতি হলো ঠিক একই ভাবে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ও ধর্ম নিরপেক্ষ আন্দোলন, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার যে লড়াই, আমদের দেশের সাংবিধানিক যে ভিত্তি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বাঁচানোর লড়াইয়ের ক্ষতি হলো।’’ 
সেলিম বলেন,  ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে একজন শিক্ষক, একজন বন্ধু, একজন কমরেড, একজন দাদাকে হারালাম। দীর্ঘদিন ছাত্র যুব আন্দোলনের সময় থেকে তাঁকে দেখেছি, কখনো দূর থেকে, কখনো পাশাপাশি বসে।’’ সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের এখন শপথ নিতে হবে তাঁর এই ভূমিকাকে স্মরণ করে তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে, যে পথে তিনি হেঁটেছেন সেই পথে আমাদের রসদ সংগ্রহ করে ভবিষ্যতের লড়াইকে আরও জোরদার করার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই আমরা কমরেড সীতারাম ইয়েচুরিকে যথার্থ শ্রদ্ধা জানাতে পারবো এবং স্মরণে রাখতে পারব।"

Comments :0

Login to leave a comment