NCERT TEXTBOOKS

শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়েও নেই এনসিইআরটি’র পাঠ্যবই

জাতীয়

শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি বিষয় পাঠ্য বই ছাপিয়ে উঠতে পারেনি এনসিইআরটি। এর আগে পাঠ্যবই না থাকার বিষয়টি সংসদে তুলেছেন রাজ্যসভায় সিপিআই(এম) সাংসদ ভি শিবদাসন। 
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘কেন চলছে এই অব্যবস্থা। এ কী দুর্নীতিজনিত পচন সব স্তরে পৌঁছানোয়। নাকি চরম অদক্ষতা গিলে নিচ্ছে শিক্ষা কাঠামোকে। যার ফল ভুগছে ছাত্রছাত্রীরা।’’ 
কেন্দ্রে বিজেপি জোট সরকারের মেয়াদে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ। জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করে একসঙ্গে বেসরকারিকরণ এবং সাম্প্রদায়িকীকরণের অভিযোগ তীব্র। ৪ জুলাই দেশজুড়ে ছাত্র ধর্মঘট হয়েছে নিট, ইউজিসি-নেট’র মতো জাতীয় স্তরের পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস এবং বেনিয়মের প্রতিবাদে। দাবি উঠেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। বাতিল করতে হবে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা এনটিএ-কে। 
স্কুলে বই না থাকায় তাড়াহুড়ো করে বৈঠক করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে। নতুন সিলেবাস অনুযায়ী বই পাওয়ার কথা ছিল এপ্রিল থেকে। তারপর দু’মাস পার হয়ে গিয়েছে। 
রমেশ বলেছেন, ‘‘এনসিইআরটি বা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বই ছাপতে পারছে না কারণ ন্যাশনাল সিলেবাস অ্যান্ড টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল কমিটি এখনও পাঠ্যবই চূড়ান্ত করতে পারেনি।’’ 
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ ওয়েব প্ল্যাটফর্মে প্রচারের বন্দোবস্ত করছে। রমেশের মন্তব্য, ‘‘প্রশ্নফাঁস রোধী পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারছে না সরকার। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সময়মতো বই দিতে পারছে না। অথচ, এসব প্রচারে প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর জন্য প্রচুর সময় খরচ করে ফেলছে।’’ 
এ বছর নতুন সিলেবাস কাঠামো অনুযায়ী তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বই চালু করার লক্ষ্য জানিয়েছিল এনসিইআরটি। দেরি হওয়ায় শোরগোল পড়েছে। আপাতত তৃতীয় শ্রেণির বই বাজারে এসেছে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির অঙ্ক, সমাজ বিজ্ঞান এবং অঙ্কের বই বাজারে আসেনি শিক্ষাবর্ষের অর্ধেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও। 
১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রীকে শিবদাসনও বলেছিলেন, ‘‘শিশুরা এই পাঠ্যবইয়ের ওপর নির্ভর করেই পড়াশোনা করে। দেশের বিশাল অংশের ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনাতেই সমস্যা হচ্ছে। এনসিইআরটি’র মানও আগের সিলেবাস কাঠামোর তুলনায় নেমে গিয়েছে। তার ওপর পাঠ্যবই হাতে দিতে পারছে না। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’’

Comments :0

Login to leave a comment