পূরণ করা হচ্ছে না শূন্যপদ। আর পর্যাপ্ত পরিবহণ কর্মীর অভাবে, পরিবহণ নিগমের প্রত্যেকটি বাস রাস্তায় নামাতে ব্যর্থ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। আর তাই প্রতিনিয়ত আয় কমছে উত্তরবঙ্গের এই শতাব্দী প্রাচীন এই ভারি শিল্পের। এই মুহূর্তে কার্যত ধুঁকছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। আর সবকিছু যেন উদাসীন সরকার কোনভাবেই স্থায়ী নিয়োগের অনুমোদন মিলছে না রাজ্য পরিবহণ দপ্তর থেকে। তাহলে কি বেসরকারিকরণের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এই পরিবহণ শিল্পকে? উঠছে এই প্রশ্নও। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাকে বাঁচানোর দাবিতে ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশে শামিল হতে যাচ্ছেন এই সংস্থায় কর্মরত পরিবহণ শ্রমিকরা।
ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। এই সংস্থার ২১টি ডিপোতেই স্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে এনবিএসটিসি’র শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪৮০। কার্যত কনট্রাকচুয়াল এবং এজেন্সি প্রথায় নিয়োগ কর্মীদের দিয়েই এই সংস্থাকে কোনক্রমে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থার কোচবিহার ডিভিশন সহ অধিকাংশ ডিভিশনে ডিভিশনাল ম্যানেজারের পদ ফাঁকা। সংস্থার মেকানিক্যাল সেকশনের পরিস্থিতি এমন যে বাইরে থেকে লোক এনে এই সেকশন চালাতে হচ্ছে সংস্থাকে।
আর এই পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে শতাধিক বাস রাস্তায় নামাতেই পারছে না এই পরিবহণ নিগম।
আর একারণেই যথাযথ পরিবহণ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের বড় অংশের সাধারণ মানুষদের।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থায় স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা মাত্র ৪০৪ জন, সংস্থার অধীনস্ত কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৮৫ জন এবং এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত রয়েছেন ৪৫০জন বলে সূত্রে খবর।
এভাবেই উত্তরবঙ্গের এই শিল্পকে বেসরকারিকরণের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুন্ডু বলেন, গোটা উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য ছিল এই রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। একসময় প্রায় ৬হাজার স্থায়ী কর্মচারী ছিল এই সংস্থাতে। বর্তমানে সরকারি সদিচ্ছার অভাবে এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি এই পরিবহণ নিগম। এই সংস্থাকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ও একাধিক দাবিকে সামনে রেখে ২০এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশে শামিল হবেন এই সংস্থার পরিবহণ শ্রমিকরা বলে জানান তিনি।
BRIGADE
সরকারি সংস্থাকে বাঁচাতে ব্রিগেড আসছেন উত্তরবঙ্গের পরিবহণ শ্রমিকরা

×
Comments :0