প্রথম দফা এসআইআর হয় বিহারে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, মধ্য প্রদেশ, পুদুচেরি এবং আন্দামান নিকোবরে দ্বিতীয় দফা এসআইআর’র কাজ শুরু হয়। প্রথমে শুরু হয় বিএলও-দের প্রশিক্ষণের কাজে। গোটা দেশে ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয় এনিউমারেশন ফরম বিলির কাজ। চলবে ৪ ডিসেম্বর প্রর্যন্ত। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হলো ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে গোয়া এবং লাক্ষাদীপ এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গেছে। উত্তর প্রদেশে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষের কিছু বেশি ফর্ম বিলি করার কথা কমিশন সূত্রে জানাগেছে সেখানে ১৫ কোটি ৩৩ লক্ষের কিছু বেশি ফর্ম বিলি হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে বিলি হয়েছে ৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৭৫টি ফর্ম।
ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের চারজনের প্রতিনিধিদল এদিন কলকাতা উত্তর কলকাতা এবং কলকাতা দক্ষিণ নির্বাচনী জেলার সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল সহ এই বৈঠকে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, ওসি নির্বাচন, ইআরও’রা উপস্থিত ছিলেন। এদিনই পরের বৈঠকটা হয় দক্ষিন ২৪ পরগণার নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে আলিপুরে। বুধবার বৈঠক রয়েছে নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে। এদিনের দুটি বৈঠকেই জ্ঞানেশ কুমার নির্বাচনী আধিকারিকদের স্পশ্ট জানিয়েদিয়েছেন, এসআইআর- এর প্রশ্নে কর্তব্যে গাফিলতি হলে বিএলও থেকে সিইও কাউকেই ছাড়া হবে না। জ্ঞানের ভারতী কড়া ভাষায় পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিলেন। মৃত ভোটার, স্থানান্তরিত ভোটার থেকে শুরু করে ভুয়ো ভোটারের নাম যেন কোনভাবেই ভোটার তালিকায় নথিবদ্ধ না হয়। যদি কোন রকম ভাবে ভোটার তালিকায় এই তিনটে স্তরের ভোটারের নাম চলে আসে তাহলে তার জন্য বিএলও থেকে শুরু করে সিইও সকলেই তার জন্য দায়ী থাকবেন। নির্বাচন কমিশন এর জন্য কাউকেই রেয়াত করবে না এবং সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহূর্তও অপেক্ষা করবে না। তিনি বলেন, যেখানে বিএলএ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে বিএলও’র হাত তুলে দিচ্ছেন সেখানে কিন্তু তাঁকে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩১ নম্বর ধারা অনুযায়ী লিখিত দিতে হচ্ছে, যদি ওই ফর্মে কোন রকম ভুল বা মিথ্যে তথ্য দেওয়া থাকে তাহলে তার জন্য কেবলমাত্র তিনিই দায়ী থাকবেন। এরপর বিএলও সেই ফর্ম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করে নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে আপলোড করবেন আর এরপরই শুরু হবে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যে কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে সম্পূর্ণ এক বিশেষ ধরনের অ্যাপ যা আর্টিফিশিয়াল টেকনোলজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই এআই সম্বলিত অ্যাপ এক নিমেষে ধরে ফেলবে যদি এনুমারেশন ফর্মে কোনরকম গন্ডগোল থাকে। যে মুহূর্তে গন্ডগোল ধরা পড়বে তখনই ডেকে পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট সেই ভোটারকে।
নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেবলমাত্র বিএলএ এবং বিএলও’রাই নয় যদি কোন ভোটার ফরম পূরণ করার সময় ভূল অথবা মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে থাকেন এবং তা যদি ধরা পড়ে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনানুগ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্যে যে এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে সেখানে ভোটার তালিকায় কোনরকম গাফিলতি আর মেনে নেবে না নির্বাচন কমিশন তা এদিনের বৈঠকে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত এই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ৫০ কোটিরও বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গেছে।
Election Commission
৫০ কোটির বেশি এনিউমারেশন ফরম বিল হয়েছে: নির্বাচন কমিশন
×
Comments :0