Rajysabha

সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদীর, প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিরোধীদের

জাতীয়

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সময় সোনিয়া গান্ধীকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিরোধীদের। এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের জবাবে বিরোধীরা রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বিরোধীরা তাদের উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর শুনতে পারে না, কেবল পালিয়ে যেতে পারে’।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা ওয়াকআউট করেন যখন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় বিরোধীদের হস্তক্ষেপের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন।
‘‘এরা অটো পাইলট ও রিমোট পাইলটে সরকার চালাতে অভ্যস্ত। তারা কাজ করায় বিশ্বাস করে না, তারা শুধু অপেক্ষা করতে জানে,’’ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ইউপিএ সরকার চালানোর ক্ষেত্রে বিজেপি প্রায়ই সোনিয়া গান্ধীকে এই বিষয়ে খোঁচা দেয়। জবাবে, বিরোধী দলনেতা খাড়গের হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান। বিরোধী সাংসদরা ‘বিরোধী দলনেতাকে বলতে দিন’ স্লোগান তোলেন। খাড়গেকেও বারবার চেয়ারম্যানের কাছে হস্তক্ষেপের সুযোগ চেয়ে অনুরোধ করেরন। ৮১ বছর বয়সী খাড়গে বলেন, ‘আমরা আমাদের মতামত জানাতে চাই, দয়া করে অনুমতি দিন’। এরপর স্লোগান দেওয়া হয় ‘মিথ্যা বলা বন্ধ করুন’ এবং ‘লজ্জা করুন’।
অবশেষে বিরোধীদের আচরণ যথাযথ নয় বলে মন্তব্য করেন ধনখড়। ‘আমি অসংসদীয় প্রথার তীব্র নিন্দা করছি, দয়া করে আসন গ্রহণ করুন’।
স্লোগান চলতে থাকলে প্রধানমন্ত্রী সরকারের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য থামিয়ে বলেন, ‘চেয়ারম্যান সাহেব, দেশ দেখছে। যারা মিথ্যাড়ায় তাদের সত্যি শোনার সাহস নেই। তারা বসে বসে তাদের উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর শুনতে পারে না। তারা উচ্চকক্ষ, তার ঐতিহ্যকে অপমান করছে। জনগণ তাদের সব দিক দিয়েই পরাজিত করেছে এবং তাদের কাছে গলিতে গলিতে চিৎকার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই’।
জরুরি অবস্থার পর অনুষ্ঠিত ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধান রক্ষার জন্য এর চেয়ে বড় নির্বাচন আর হয়নি। ১৯৭৭ সালে দেশ দেখিয়েছে দেশে শিরায় শিরায় গণতন্ত্র চলছে।

Comments :0

Login to leave a comment