জনগণের ঐক্য অটুট রেখে রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হুগলী ও হাওড়া জেলায় দু’দিন ধরে মহামিছিলের আহবান জানিয়েছে বামপন্থী দলগুলি। ৯ এবং ১০ এপ্রিল বামপন্থী দলগুলির আহবানে এই মিছিল হবে যথাক্রমে কোন্নগর থেকে উত্তরপাড়া এবং বালি থেকে শিবপুর পর্যন্ত।
প্রবীণ বামপন্থী নেতা ও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু শুক্রবার একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বিভেদ সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিয়ে জনগণের ঐক্য অটুট রাখতে বামপন্থী দলগুলি দুইদিনব্যাপী শান্তিমিছিলের আহবান জানাচ্ছে। আগামী ৯ এপ্রিল রবিবার এই শান্তি ও সম্প্রীতির মিছিল হুগলীর কোন্নগর বাগখাল থেকে বেলা ৩টেয় রওনা হয়ে উত্তরপাড়ায় গৌরী সিনেমা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছনোর পর বিকেল সাড়ে ৪টেয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ১০ এপ্রিল সোমবার দুপুর ২-৩০ মিনিটে সংক্ষিপ্ত সভার পরে হাওড়ার বালিখাল থেকে ফের মিছিল শুরু হয়ে জিটি রোড ধরে শিবপুর ট্রাম ডিপোর সামনে শেষ হবে। মিছিল শেষে শিবপুর ট্রাম ডিপো মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এবং শ্রমিক কৃষক জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে শান্তির এই মহামিছিলে সর্বস্তরের মানুষকে শামিল হতে আহবান জানানো হচ্ছে।
সিপিআই(এম), সিপিআই, এআইএফবি, আরএসপি, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, এসইউসিআই(সি), আরসিপিআই, এমএফবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বলশেভিক পার্টির পক্ষ থেকে এই মহামিছিলের আহবান জানানো হয়েছে। কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই মিছিল তা ব্যাখ্যা করে বিমান বসু বলেছেন, গত ৩০ মার্চ রামনবমীর দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অস্ত্রসহ মিছিল সংগঠিত হয়েছে। উৎসবের এই মিছিলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও এই ধরনের সংঘর্ষ থেকে বাদ যায়নি। হাওড়ার কাজীপাড়ায় এবং প্রশাসনিক তৎপরতার অভাবে পরবর্তীতে হুগলীর রিষড়ায় সংঘর্ষ, আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মানুষের জীবন জীবিকার সমস্যা, তীব্র বেকারী, দারিদ্র, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই সংগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এই পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উভয় সম্প্রদায়ের গরিব শ্রমজীবী জনগণ। পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধংস করার বিরুদ্ধে সঙ্গত কারণেই আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
Comments :0