পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আলোচনার কেন্দ্রে রেখে জননেতা কমরেড জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবস। মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, জ্যোতি বসুর ১৪ তম প্রয়াণ দিবস। জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রে মঙ্গলবারই পেশ হবে দু’টি গবেষণা পত্র। ‘পঞ্চায়েত ব্যবস্থা- জ্যোতি বসুর ভাবনা’ এবং ‘আজকের দুরবস্থা এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা’ শীর্ষক গবেষণা পত্র পেশ হবে।
জ্যোতি বসু নগর, নিউটাউনে গড়ে উঠেছে ‘জ্যোতি বসু ফাউন্ডেশন ফর সোসাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’ (জেবিসিএসএসআর)। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটেতে এই গবেষণা কেন্দ্রে হবে আলোচনা। থাকবেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এবং সূর্য মিশ্র।
সোমবার এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘ জ্যোতিবাবুর প্রয়াণ দিবসে এবারই প্রথম এই আলোচনা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি কী ছিল কী হয়েছে গবেষণা পত্রে তার ব্যাখ্যা থাকবে। পঞ্চায়েতী ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্যোতি বসুর ভাবনা, নিকেন্দ্রীকরণের দিকেও কী ছিল কী হয়েছে সেই আলোচনা থাকবে।’’
তিনি জানিয়েছেন যে দু’টি কমিশন গড়ে গবেষণা চালানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও সহায়তা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জনগণের পঞ্চায়েত জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে লড়াই চলছে। যে ভাবনা নিয়ে বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছিল সেখানে পৌঁছাতে চাই আমরা।’’
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরে সেলিম বলেন, ‘‘বিকেন্দ্রীকরণের দিকে তাকিয়েই গ্রাম সভা, ওয়ার্ড কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনা নিয়ে এল গোলমালের কারণ সেটিই। লুট করে পঞ্চায়েত দখল করেছে, তারপর স্বচ্ছতা নষ্ট করেছে তৃণমূল। টাকা কত এল, কে পেল, কে খেয়ে নিল- এসব কোনও হিসেব দেওয়ার ব্যাপার নেই। অথচ গ্রাম সভায় সব তথ্য জানানোর আইনি ব্যবস্থা করা হয়েছিল বামফ্রন্টে সরকারের সময়।’’
রাজ্যের অর্থনীতি প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘দুষ্কৃতী-দুর্নীতি জোট কেন, তার পিছনে অর্থনীতি কী- গবেষণায় তা খোঁজা হয়েছে। গরু পাচার, কয়লা পাচার, সিন্ডিকেট থেকে সরকারি চাকরির দুর্নীতি চলছে। আইনত নিষিদ্ধ এমন কাজ চলছে তৃণমূল এবং পুলিশের ব্যবস্থায়। রাজ্যের অর্থনোতি ধ্বংস হচ্ছে, তরুণ প্রজন্মকে শেষ করছে তৃণমূলের এই মডেল।’’
মঙ্গলবার দুপর আড়াইটেয় শুরু হবে আলোচনা সভা।
Comments :0