PORT WORKERS STRIKE

বড় বন্দরে বেসরকারি রাজ, সঙ্কটে জেরবার শ্রমিকরা বসছেন অনশন ধর্মঘটে

জাতীয়

বন্দর বেসরকারিকরণ বন্ধের দাবিতে কলকাতায় মিছিলে তপন সেন সহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

বড় বন্দরের আইন বদলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বেসরকারি সংস্থার হাতে বন্দরের সব কাজ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে দ্রুত। বেতন, পেনশনের সংশোধন আটকে ৩০ মাস। অস্থায়ী শ্রমিক এবং কর্মীদের আইনি অধিকার মানা হচ্ছে না। চরম বেনিয়মের প্রতিবাদে ২৫ এবং ২৬ জুলাই অনশন ধর্মঘটে বসছেন বন্দর শ্রমিক এবং কর্মীরা।
গত ৪ ও ৫ জুলাই কলকাতাতেই বৈঠক করেছেন দেশের বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সব বন্দরের শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কার্যকরী কমিটির বৈঠকে আলোচনা চলেছে প্রধানত বৃহৎ বন্দর আইন নিয়ে। 
ফেডারেশনের বক্তব্য, ২০২১’র এই আইন তৈরিই হয়েছে দেশের সব বড় বন্দরের সব বাণিজ্যিক অপারেশন বেসরকারি হাতে দেওয়ার জন্য।  পণ্য ওঠানামার পাশাপাশি বন্দরের সব কাজকর্মের ভার দেওয়া তুলে দেওয়া হচ্ছে পিপিপি মডেলে। 
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’র নামে আসলে বেসরকারি সংস্থাই সরাসরি টাকা তুলে নিচ্ছে বন্দর ব্যবহারকারীদের থেকে। বন্দর কর্তৃপক্ষকে দিচ্ছে নামমাত্র অর্থ। তার ফল ভুগছেন শ্রমিক এবং কর্মচারীরা। আয় কমে যাওয়ার যুক্তিতে আটকে রাখা হয়েছে বেতন সংশোধন। আরও সমস্যায় পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা, যাঁদের একমাত্র সম্বল পেনশন। 
বৈঠক হয়েছে কলকাতায় পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়নের দপ্তরে। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সিআইটিইউ’র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন। বৈঠকের পর মিছিলও হয়। অংশ নেন সিআইটিইউ নেতা দেবাশিস রায়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা কল্লোল মজুমদার। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি সিডি নন্দকুমার এবং সাধারণ সম্পাদক টিএন রাও যোগ দেন মিছিলে। ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সমর মণ্ডলও বক্তব্য রাখেন মিছিলের পর আয়োজিত জনসভায়। স্লোগান ওঠে বন্দর বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে। বন্দরের নিজস্ব হাসপাতালের বেসরকারিকরণও বন্ধ করতে হবে। 
বন্দর শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃবৃন্দ বলেছেন যে ৭ দফা আলোচনার পরও বেতন বাড়াচ্ছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঠিকা শ্রমিক এবং চুক্তিতে নিযুক্ত শ্রমিকদের জন্য দেশের আইন রয়েছে। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার আইনি বিধান রয়েছে। কোনও কিছুই মানা হচ্ছে না। বন্দরের বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া আরও এগলে কমবে স্থায়ী কর্মী। অস্থায়ী কর্মীদেরও সঙ্কট তীব্র হবে। বন্দর বেসরকারিকরণ ঠেকানোর লড়াইয়ে সমাজের সব অংশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment