RG KAR

‘ওয়ার্ক অর্ডার’ ছাড়াই দেওয়াল ভাঙা আরজি করে, বলছেন চিকিৎসকরা

রাজ্য

বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ১৬ আগস্ট মিছিল করবেন তিনি। আর চাপ বাড়াচ্ছেন সিপিআই’র ওপর। বলেছেন, রবিবারের মদ্যে দাখিল করতে হবে চার্জশিট। আবেদন জানাতে হবে ফাঁসির।
বুধবারই চিকিৎসকরা মারাত্মক প্রশ্ন তুলছেন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে। কোনও লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার কক্ষ সংলগ্ন দেওয়াল ভামঅ হয়েছে। হয়েছে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায়। সেমিনার কক্ষেই শুক্রবার সকালে মিলেছিল চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ। বৃহস্পতিবার রাতেও ডিউটি করেছিলেন তিনি। 
চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ বুধবার বিবৃতিতে বলছে, স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চতম আধিকারিক নাকি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে, শনিবার, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে নির্দেশ দেন অনতিবিলম্বে বিকেল ৫টার মধ্যে কাজ শুরু করতে হবে। এটাও জানান যে পূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে তিনি কথা বলে নিয়েছেন। কিন্তু কোনও লিখিত আদেশ হয়নি। 
স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জি। তিনিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার কক্ষ সংলগ্ন দেওয়াল সংস্কারের নামে ভাঙা হবে কেন, কিসের তাড়াহুড়ো, এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। প্রমাণ লোপাটের একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ প্রশাসন এবং পুলিশ। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শাস্তির বদলে কেবল পাশের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে অধ্যক্ষ করেই। ন্যঅশনাল মেডিকালে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রী চিকিৎসকরা। মুখ বন্ধ করার জন্য পুলিশের উঊচু স্তর থেকে প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ তুলেছে পরিবার। কেনই বা ৯ আগস্ট, শনিবার, তাড়াহুড়ো করে ময়না তদন্ত সেরেই দেহের শেষকৃত্য করে ফোল হলো, বিক্ষোভ তা নিয়েও। পরিবারের ক্ষোভ, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেননি তাঁরা। 
যৌথ মঞ্চের চিকিৎসকরা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে বলেছেন যে কেবল একজনের পক্ষে এমন মারাত্মক আঘাত সারা শরীরে করা সম্ভব না। জড়িত রয়েছে আরও অপরাধী। সারা রাজ্যের জনতা বলছে, আসল অপরাধীদের আড়াল করার তোড়জোড় চলছে। মঙ্গলবার হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রমাণ লোপাটের ব্যবস্থা চলছে, শঙ্কিত চিকিৎসকরা। এমনকি ডিএনএ নমুনা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছেও বলেও ক্ষোভ আরজি কর হাসপাতালে বিক্ষোভকারীদের। 
চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের দাবি, নির্দেশ দিয়েছেন যে আধিকারিক তাঁকে হেপাজতে নিয়ে জেরা করা হোক।
বুধবার মহিলাদের ডাকে মধ্যরাতে রাস্তায় দখল নেওয়ার ডাক। বিকেল থেকেই রাজ্যজুড়ে পথে নামছেন মহিলারা। জ্বালছেন প্রতিবাদের মশাল। বিচার চেয়ে বলছেন, দোষীদের আড়াল করার ব্যবস্থা করছে সরকার নিজেই। এদিনই মমতা বেহালায় এক অনুষ্ঠানে আবার বলেছেন, ‘‘ভাবছে বাংলাদেশের মতো এখানে ক্ষমতা দখল করবে। আমার ক্ষমতার মায়া নেই।’’

Comments :0

Login to leave a comment