RG Kar Doctor Murder Case

সঞ্জয়ের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে সিবিআই

রাজ্য

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে রাতে ডিউটিরত তরুণী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারাী সংস্থা সিবিআই। জেরা চলছে দফায় দফায়।  তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে জানা গেছে সেই রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে আরও কেউ কেউ ছিল। এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে এবার ধৃত সঞ্জয়ের মোবাইলের কল রেকর্ড, ঘটনার দিনের এবং তার আগের দিনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখছেন সিবিআই। সেদিন ও তার আগের দিন সঞ্জয় কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল। তার হোয়াটস অ্যাপে কল করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে কাদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা ছিল সঞ্জয়ের। সে দিন রাতে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, কী কী করেছিলেন, কার কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল, সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে জানা গেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ধৃতের ফোনের লোকেশনও।

আরজি কর হাসপাতালে রাতে ডিউটিরত তরুণী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয় গত শুক্রবার। সেদিন সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাতে ধর্ষণ করে খুনের ইঙ্গিতই মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চিকিৎসক ওই তরুণীর দেহে ১০ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দুটি চোখ, মুখ, ঠোঁট, আঙুলের নখ, বাঁদিকের পা,  পেট, বাঁদিকের গোড়ালি, ডান হাত, গোপনাঙ্গ সহ ১০টি জায়গায় আঘাত মিলেছে। যদিও তরুণী চিকিৎসকের মা আগেই অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর সবরকম চেষ্টা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুন সেটা নিশ্চিত হয়েছে। সহপাঠী থেকে বাকি চিকিৎসকদের দাবি, ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যুক্ত একাধিক ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই ধারণা। পুলিশ  গ্রেপ্তার করে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। বাড়ি দক্ষিণ কলকাতায়। বাড়িতে কম থাকত সঞ্জয়। বেশি থাকত পুলিশ ব্যারাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকার থেকে হাসাপাতালে রোগী ভর্তির জন্য দালালির টাকা নেওয়া, নির্বাচনের সময় তৃণমূলের হয়ে বুথ দখল করার ‘কাজ’ সে বেশি করত বলে অভিযোগ। সেই সুবাদে ভলান্টিয়ারের কাজ পায় সঞ্জয় এমনটাই জানিয়েছেন 

তার পড়শিরা। আর জি কর হাসপাতালে গত কয়েক বছরের নানা দুষ্কর্মের মতো ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের রাত থেকে ভোরের মধ্যে ঘটে যাওয়া আরও অনেক কিছুর উত্তর সঞ্জয় রায়ের কাছেই আছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পর সিবিআই জানে, ‘‘সঞ্জয় জানে সে চাবিকাঠি এই তদন্তের। সিবিআই হেপাজতে সঞ্জয়। তার কাছেই আছে অনেক উত্তর।’’

সেই উত্তর খুঁজতে এবার ধৃত সঞ্জয়ের মোবাইলের কল রেকর্ড, ঘটনার দিনের এবং তার আগের দিনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

এদিন সিবিআই দপ্তরে গিয়ে তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে এলেন টালা থানার অফিসার ইন-চার্জ।

Comments :0

Login to leave a comment