সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠনকে সমর্থন করল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ। একের পর এক প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতি, বেনিয়ম, প্রশ্ন ফাঁসের প্রতিবাদে ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার, ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন।
বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষে সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সম্পাদক অনাদি সাহু বিবৃতিতে ছাত্র ধর্মঘটকে সমর্থনের সিদধান্ত জানিয়েছেন। সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, ইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ’র মতো একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে জারি হয়েছে যৌথ বিবৃতি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মূলত সর্বভারতীয় ‘নিট’, ‘নেট’ পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁস ও আমাদের রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে এই ছাত্র ধর্মঘট। গত কয়েক বছর নিয়ম করে আমাদের রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন পাঁস হয়ে চলেছে।’’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ’র পুরো ব্যবস্থাটির মধ্যে ব্যাপক অস্বচ্ছতা আছে। পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন থেকে সবকিছুতেই অস্বচ্চতা ছিল। এই প্রশ্ন ফাঁসের ফলে দেশজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। তাঁদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলচে এি সরকার।’’
রাজ্যের পরিস্থিতি জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেই। যোগ্য মেধাবী পরীক্ষার্থীরা কলকাতা শহরে ধর্ণা মঞ্চে আর অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে স্কুলে পড়াচ্ছেন। কেবল তাই নয় ৮ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক স্কুল। এটি শিক্ষার বেসরকারিকরণের ভয়ানক চক্রান্ত। জাতীয় শিক্ষানীতি বলছে, পয়সা যার শিক্ষা তার’। রাজ্যের সরকারের নীতিও তাই।’’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মাধ্যমিক পাস করার পর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হচ্ছে না। পড়াশোনা করে কাজ নেই তাই পড়াশোনায় তীব্র অনীহা। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’’
শ্রমিক সংগঠনগুলির ক্ষোভ, ‘‘কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে ২০১০ সালের পর থেকে দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে এক তীব্র জটিলতা তৈরি হয়েছে। কলেজগুলিতে ভর্তি চলছে। রাজ্য সরকার একটি পোর্টাল তৈরি করেছে। সেই পোর্টাল নিয়েও বিভিন্ন সমস্যার মুখে ছাত্রছাত্রীরা। এক ভয়ানক পরিস্থিতির মদ্যে দেশ ও রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা।’’
বলা হয়েছে, ‘‘টাকা যার শিক্ষা তার নীতিতে সবচেয়ে আক্রান্ত শ্রমিক কৃষক পরিবারের সন্তানরা। মেধা থাকা সত্ত্বেও শ্রমিক কৃষক খেতমজুর পরিবারৃর সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই ভয়ানক অরাজকতায় এরাজ্যের শ্রমিক সংগঠনগুলি উদ্বিগ্ন।’’
Comments :0