বসবাস করছেন কয়েক দশক ধরে। কিন্তু জমির স্বত্ত্ব নির্দিষ্ট নয়। পাশেই রয়েছে হাট। হাট কমিটির সঙ্গে বিবাদে বিপন্ন প্রায় হাজার আদিবাসী পরিবার। জলপাইগুড়িতে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সাতকুরা গ্রামে আদিবাসী পরিবারগুলির দাবি, পাট্টা বা লিজ দিয়ে জমির অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে।
সোমবার একাধিক আদিবাসী সংগঠন মিলিতভাবে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসককে পুরো সমস্যা জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে। আদিবাসী আন্দোলনের নেতা রামলাল মুর্মু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারকেই জমির অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে সব জানানো হয়েছে।
সাতকুরা গ্রাম বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন। কোতোয়ালি থানার মধ্যে এই এলাকায় ১ হাজারের বেশি আদিবাসী পরিবার কয়েক দশক ধরে রয়েছেন। স্মারকলিপি দিতে আসা আদিবাসী মহিলারা জানিয়েছেন যে তাঁদের জমির ওপর হাটের নির্মাণ চলছে। জমির কাগজপত্র নেই বলে বিবাদ চলছে হাট কমিটির সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন যে কাগজ চাইতেই দেখা করেছেন প্রশাসনের সঙ্গে।
রামলাল মুর্মু জানিয়েছেন, সাতকুরা গ্রামের ওই জমি সরকারি খাতায় পুরুষানুক্রমিক আদিবাসী বসবাসের এলাকা বলে দেখানো রয়েছে। কিন্তু বসবাস করছেন যাঁরা, তাঁদের স্বত্ত্বাধিকার নেই। পরিবারগুলিকে পাট্টা বা লিজ দেওয়া দরকার রাজ্য সরকারের।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এই আদিবাসী জনবসতিতে কৃষি এবং অন্য জীবিকার সঙ্গে যুক্ত বাসিন্দারা। এই জমিতে সাতকুরা হাট কমিটি টিনের শেড বানায়। তা থেকে বিবাদ শুরু হয়। আদিবাসী পরিবারের মহিলারা বলেছেন, দীর্ঘ সময় থেকে এই জমিতে বসবাস করে দিন মজুরি বা কৃষি কাজ করছি। হঠাৎ হাট কমিটি আমাদের জমি দখল করে টিনের শেড বানায়। আমাদের জমির কাগজ দেওয়া হোক।
Comments :0