সঞ্চারী চট্টোপাধ্যায়: তিরুবনন্তপুরম
কেন্দ্রের সরকারে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি। রাজ্যে রাজ্যেও রয়েছে সরকার। দেশের অন্যত্রও বিদ্বেষ আর বিভাজনের প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস। চলছে পালটা প্রতিরোধও। বিপদের নানা দিক তুলে ধরার সঙ্গে শনিবার প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলনের প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার কেরালার তিরুবনন্তপুরমে টেগোর হলে শুরু হয়েছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ত্রয়োদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের ওপর চলছে আলোচনা।
শনিবার আলোচনায় অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি মীনা ঘোষ মুখার্জি। রাজ্যে রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ করেন তিনি। তুলে আনেন মহিলা আন্দোলনের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা।
ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার প্রতিনিধিরা তুলে এনেছেন নিষিদ্ধ মাদকের মারাত্মক প্রভাব কিভাবে পড়ছে সমাজে। কমবয়সীরা জড়িয়ে পড়ছে নেশায়। নষ্ট হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। মাদক বিরোধী সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন তাঁরা।
সব রাজ্যের মহিলা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন কোভিড-লকডাউন পর্ব থেকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব কিভাবে পড়ছে। সঙ্কটের কারণে বাড়তি শোষণের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। আবার বাড়ছে নারী নির্যাতন।
স্বাধীনতার দিনেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে গুজরাট গণহত্যার অন্যতম অংশ বিলকিস বানোর ধর্ষকদের। কেবল ধর্ষণ নয়, বানোর শিশুসন্তান, পরিবারের নয় সদস্যকে হত্যায় অপরাধী এরাই। কেন্দ্রে এবং গুজরাটে বিজেপি সরকার এই ব্যবস্থা করেছে বিধানসভা ভোটের আগে। যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত মন্ত্রীর পাশে দাঁড়াচ্চেন হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতিতে, সমাজে প্রভাব ফেলছে এমন বহু পদক্ষেপ। সমতা এবং অধিকারের দাবি খাটো করা হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিরোধী সচেতনতা সংগঠিত করার অভিজ্ঞতা জানাচ্ছেন নেতৃবৃন্দ।
এদিন সম্মেলনকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান। কেরালায় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক এ বিজয়রাঘবন সংহতি জানান লড়াইয়ে।
(সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলনে, শনিবার, আলোচনায় তেলেঙ্গানা এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধি (নিচে)। ছবি: অচ্যুৎ রায়)
Comments :0