CPI(M) TRIPURA

বাংলার কায়দায় ত্রিপুরায় বামপন্থীদের মনোনয়নে বাধা

জাতীয়

CPIM TMC BJP communal harmony TRIPURA PANCHAYAT ELECTION bengali news কদমতলা-কুর্তি বিধানসভার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২ জন বিজেপি কর্মী সিপিআই(এম)’র সমর্থনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঠিক যেন পশ্চিমবঙ্গের কার্বন কপি। তৃণমূলের কায়দায় ত্রিপুরাতেও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। 

ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর ব্লকে মনোনয়ন জমা দিতে যান সিপিআই(এম) সহ বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। তখন পুলিশের সামনেই তাঁদের উপর চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের খাতায় নাম থাকা দুষ্কৃতিদের নিয়ে এসে বামপন্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দিয়েছে বিজেপি। 

এই হামলা চলাকালীন ফেসবুক লাইভ করা হয়েছে সিপিআই(এম) ত্রিপুরা ফেসবুক পেজ থেকে। লাইভে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, প্রথম থেকে রাজনগর স্কুলের সামনে কয়েক শো দুষ্কৃতির জমায়েত করে রেখেছিল বিজেপি। সিপিআই(এম) প্রার্থীরা সেখানে পৌঁছনো মাত্র তাদের উপর চড়াও হয় সমাজবিরোধীরা। বামপন্থী প্রার্থীদের ব্যাগ থেকে মনোনয়নের কাগজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। 

এর পালটা বামপন্থী প্রার্থীরা প্রতিরোধ শুরু করেন। তখন তাঁদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে ইট বৃষ্টি করা শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনায় একাধিক সিপিআই(এম) কর্মী আহত হয়েছেন। 

এর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বামপন্থী কর্মীরা। বিজেপির আক্রমণে আহত হন সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুধন দাস। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের সামনে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। বিজেপির আমলে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন। বহু জায়গায় তারা প্রার্থী দিতে পারছে না। বিজেপির নেতারা বুঝে গিয়েছে, ভোট হলেই মানুষ ওদের বিরুদ্ধে রায় দেবে। তাই ভয় পেয়ে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে।’’

এর পাশাপাশি এদিন কমলপুরের দুর্গা চৌমুহনীর আরডি ব্লকে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের উপর হামলা চালায় বিজেপি। ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিআই(এম)’র ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ‘‘ ব্লক অফিসগুলির বাইরের সমস্ত রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দিনে দুপুরে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন লুট করা হচ্ছে পুলিশের সামনে। এর থেকে রাজ্যের সুশাসনের ছবি স্পষ্ট। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনেই এই অবস্থা। বিজেপি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে।’’

জিতেন্দ্র চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘মানুষ যদি গণতান্ত্রিক পথে ভোট দিতে না পারেন, তাহলে পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে ত্রিপুরা প্রশাসন।’’

বিজেপির দখলদারির মাঝেই কদমতলা-কুর্তি বিধানসভার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২ জন বিজেপি কর্মী সিপিআই(এম)’র সমর্থনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

Comments :0

Login to leave a comment