R G Kar Reactions

অপরাধের মাথা ধরতে লড়াই চালু রাখার বার্তা পরিবারের, চিকিৎসকদের

রাজ্য

নির্যাতিতার বাবা আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা বিচারের প্রথম ধাপ পার করেছি। এবার দ্বিতীয় ধাপের দিয়ে এগব।’’
বস্তুত চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ-হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের সব অংশই এদিন পূর্ণ বিচারের জন্য লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছে। 
চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা উৎপল ব্যানার্জি বলেছেন, "মহামান্য আদালতের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময় প্রতক্ষ পরোক্ষ ভাবে এই হত্যাকাণ্ডে তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে জড়িত যাদের নাম সামনে এসেছে তাদের প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনতে হবে।’’
শনিবার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে শিয়ালদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি অনির্বাণ দাসের এজলাসে। 
নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, ‘‘আমার বিচারককে ধন্যবাদ জানানোর মতো কিছু নেই। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।" 
ডা: উৎপল ব্যানার্জি বলেছেন, "সিবিআই যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা অবিলম্বে আদালতে জমা দিতে হবে। এই দাবি আমরা এখনো রাখছি।"
আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী এবং চিকিৎসকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল ৯ আগস্ট। এই মামলা হাইকোর্টে চললেও পরে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। তবে শিয়ালদহে বিচার আদালত বিচারপ্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সিবিআই চার্জশিটে কেবল সঞ্জয় রায়কেই দোষী বলে চার্জশিট দিয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের যদিও সিবিআই বলেছে যে অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়া হবে। 
বৃহত্তর যে ষড়যন্ত্রের কথা সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল তার কী হলো, এই প্রশ্ন একাধিক বার তুলছেন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালে জানিয়েছিল যে অপরাধের ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টেও সেই অনুমান করা হয়। 
চিকিৎসকরা হাসপাতালে দুর্নীতি চক্র এবং তাকে টিকিয়ে রাখতে হুমকি শাসানির সংস্কৃতির প্রতিবাদে সোচ্চার হন ঘটনার পর থেকেই। তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রশাসনের মদতে এই চক্র চলার অভিযোগও প্রবল। সেই সঙ্গে প্রবল অভিযোগ তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও। এদিন শিয়ালদহে সমবেত প্রতিবাদীরা বলেছেন যে সঞ্জয় রায় দোষী নিশ্চয়। কিন্তু সঞ্জয় একা দোষী নয়। এই অপরাধ চলেছে অনেক ওপরের স্তর থেকে। তাদের ধরতে। 
আর জি করে সে সময়ে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ। সন্দীপকে সরালেও মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার পদে বসানোর ঘোষণা করেছিলেন। প্রতিবাদের জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করতে হয়। আরেক অভিযুক্ত অভীক দে-কে প্রাথমিকভাবে সরালেও ফের সদস্য করা হয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিলের। যেখানে দেহ মেলে, সেই সেমিনার রুমের পাশেই বাথরুম ভাঙা হয় সংস্কারের নামে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের একমন একাধিক ঘটনা বারবার সামনে এসেছে। এই অপরাধ চক্রের মাথাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার বার্তা দিয়েছে বিচারের দাবিতে চলতে থাকা আন্দোলন।     

Comments :0

Login to leave a comment