GAZA ATTACK ISRAEL

‘রক্ত আমার ছেলের’, কাঁদছেন গাজার মা, বসতবাড়িতে বোমা ইজরায়েলের

আন্তর্জাতিক

শিশুদের দুধের বোতল নেই, আছে বোমা। ছবিতে প্রতিবাদ শিল্পীদের।

মুখে বলা হয়েছিল পণবন্দিদের উদ্ধারের অভিযান। বাস্তবের মাটিতে গাজার নুসেইরত ত্রাণ শিবিরে চলেছিল হত্যাকাণ্ড। এমনকি মার্কিন সংবাদমাধ্যমও এড়াতে পারছে ভয়ঙ্কর গণহত্যার সাক্ষ্য। সাংবাদিকদের মধ্যবয়সী মহিলা ঘরে রক্তের দাগ দেখিয়ে কেঁদে উঠে বলেছিলেন, ‘‘এ আমার ছেলের রক্ত!’’
পণবন্দিদের খোঁজ মেলেনি। কিন্তু হামাসের বিরুদ্দে অভিযানের নামে ইজরায়েলের সেনা কেবল ৮ জুন হত্যা করেছিল ২৭০ প্যালেস্তিনীয়কে। আহতের সংখ্যা ৬৯৮। বসত এলাকায় নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলায় নিহত হয়েছে শিশু-কিশোররা। তার মধ্যে ছিল রাসা আবদেল মিকদাদও। মাত্র ১২ বছরের কিশোরকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করেছেন ইজরায়েলের সেনা। 
বিশ্বজুড়ে ধিক্কার সত্ত্বেও জুনের শেষে একইরকম আগ্রাসী ইজরায়েল। বুধবার গাজার অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানাচ্ছে গাজার উত্তরে লাহিয়া শহরে অকল্পনীয় তাণ্ডব চলছে। বসত এলাকায় বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আবু আওয়াদ পরিবারের বহুতল আবাস। অন্তত ১৫ জন সঙ্গে সঙ্গেই নিহত হয়েছে। পুরো এলাকায় এখন অপারেশন চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। আশেপাশের বাড়িতে বোমা বা গোলা ফেলা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা কোথায় দাঁড়াবে অনুমান করা অসম্ভব হয়ে দারড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ কর্মীদের কাছে। 
ইজরায়েলের অবরোধ আর তাণ্ডবে গাজায় খাবার নেই, জল নেই। শিশুদের নিয়ে দলবেঁধে বাবা-মায়েরা খাবারের আশায় ঘুরছেন এক ত্রাণ শিবির থেকে আরেকটিতে। গুরুতর দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা। সোশাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়ছে, কঙ্কালসার চেহারায় শিশুরা। 
আরবের সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়েছে আরেকটি ভিডিও। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর কুকুর তাড়া করছে অসহায় প্যালেস্তিনীয় বৃদ্ধাকে। মধ্য গাজার জাবালিয়া ক্যাম্পে অপারেশনের সময় নাগরিকদের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে কুকুর। বৃদ্ধা তাঁর ঘর ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেন না। বিনিময়ে জুটেছে মার, কুকুরের কামড়। 
গাজার অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানাচ্ছে নুসেইরত এবাং খান ইউনিসে ফের হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বুধবারের হামলায়।

Comments :0

Login to leave a comment