কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় জুনিয়ার চিকিৎসকরা। সোমবার কলেজ স্ট্রিট থেকে পাঁচ দফা দাবিকে সামনে লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়ে ছিলেন যে যতক্ষন না বিনীত গোয়েল পদত্যাগ করছে ততক্ষন তাদের এই অবস্থান চলবে। সেই মতো সোমবার গোটা রাত কলকাতার রাস্তায় কাটান তারা।
চিকিৎসকদের পাশে থাকার জন্য রাতে খোলা ছিল ফিয়ার্স লেনের বহু দোকান। চা, জল, বিস্কুট খাবার নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। রোদ এবং বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য জুনিয়ার চিকিৎসকদের জন্য মাথায় ছাউনির ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা।
আর জি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ এবং হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনে টানা রয়েছে চিকিৎসকরা। শনিবার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস সিবিআই দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান চালায়। সোমবার জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযান করেন বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের মুখ্য দাবিটিকে সামনে রেখে। স্লোগান ওঠে: ‘প্রমাণ লোপাটে দায় কার, জবাব চাইতে লালবাজার’। মিছিলে স্লোগান উঠেছে, ‘ছিনিয়ে নিতে দিদির বিচার/ আজকে সবাই লালবাজার’।
বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কাছে পুলিশ আগে থেকেই তিনটি ব্যারিকেড করে রাখে। মিছিল সেখানে পৌঁছালে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সাথে দফায় দফায় পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। চিকিৎসকরা প্রশ্ন তোলে খানিকটা এগিয়ে লালবাজারের মুখে কেন যেতে পারবেন না তাঁরা?
আরজি কর হাসপাতালের নির্মম কান্ডে আসল দোষীদের ধরার দাবিতে জুনিয়ার চিকিৎসকরা টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। প্রধান ৫টি দাবি নিয়ে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁরা বলেছেন, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে তদন্তে পুলিশ পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যর্থতার দায় নিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতে হবে।
রাতে পুলিশের আধিকারিকরা বলেন যে ওই ব্যারিকেডের সামনে থেকে ২০ জনের প্রতিনিধি দলকে লালবাজার যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন মিছিলকে বেন্টিং স্ট্রিট অর্থাৎ লালবাজার ১০০ মিটার আগে অবধি যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। জুনিয়ার চিকিৎসকরা রাতে বলছেন, যদি তাদের দাবি অনুযায়ী কমিশনার পদত্যাগ না করেন তা’হলে তাঁরা এখানে ২৪ ঘন্টা ৪৮ ঘন্টা ৭২ ঘন্টা টানা অবস্থান করবেন। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এখন সেটাই দেখার।
Comments :0